1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিতা আবার ছুটবে ভারতে

৩ আগস্ট ২০১০

চিতা, মানে চিতা বাঘ, ভারতের বুক থেকে হারিয়েই গিয়েছিলো৷ হারিয়ে যাওয়া সেই প্রাণীটিকে আবার ফেরানোর পরিকল্পনা হচ্ছে৷ এই পরিকল্পনা ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের৷

https://p.dw.com/p/Oacl
ছুটে বেড়ানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রতগামী প্রাণী এটিছবি: AP

চিতার চিহ্ন ভারতের মাটি থেকে মুছে গিয়েছিলো ছয় যুগ আগে৷ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তবে এখন আবার মিলবে সেই চিহ্ন৷ পুরনো বাড়িতে নতুন করে ফিরে চিতাগুলো কোথায় থাকবে - তা এরই মধ্যে ঠিক করা হয়েছে৷ মধ্য প্রদেশ আর রাজস্থানের তৃণভূমিতে৷ সেখানে ছুটে বেড়ানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রতগামী এই প্রাণীটি পাবে ১২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা৷ খাঁচার মধ্যে নয়, মুক্তভূমিতে৷ এখন অবশ্য কয়েকটি চিতা ভারতে আছে, তবে তা চিড়িয়াখানায়, কৃত্রিম পরিবেশে৷

ভারতকে চিতার বিচরণভূমি করার জন্য প্রাথমিক কাজটি শুরু করে দুটি দল, যারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করেন৷ তাদের পরামর্শ আর উদ্যোগই পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশকে নামিয়েছে এই পথে৷ পুরনো বাসিন্দাকে ঘরে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে৷ বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি রুপি৷ এই অর্থ খরচ হবে শুধু নির্বাচিত স্থান দুটিকে ঠিকঠাক করতে, যাতে পুরনো আস্তানাকে চিতার পরপর মনে না হয়৷ মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর ও নওরাদেহি, আর রাজস্থানের শাহগড় - এই স্থানগুলোতে থাকবে চিতাগুলো৷

Deutschland Köln Zoo Flash-Galerie 025
এখন অবশ্য ভারতে বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় এবং কৃত্রিম পরিবেশে বেশ কয়েকটি চিতা আছেছবি: DW/Nelioubin

চিতা আনা হবে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে৷ কতটি আনা হবে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি৷ তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুটি অভয়াশ্রমে অন্তত ৮০টি চিতা অনায়াসেই থাকতে পারবে৷ স্থানগুলোতে কিছু জনবসতি আছে৷ চিতার জন্য এখন মানুষকে সেই স্থান ছেড়ে দিতে হচ্ছে৷ তাদের অন্য জায়গায় বাড়ি-ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার৷

চিতা যদি আনা যায়, তাহলে বাঘ জাতীয় ছয়টি প্রাণীর আবাস হবে ভারত৷ একসঙ্গে এই ধরনের এত প্রজাতির প্রাণী বিশ্বের আর কোথাও নেই বলে দাবি করেছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ এম কে রনজিত সিং৷ তিনি কাজ করেন ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্টে৷

তবে চিতাকে ফেরানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও অনেকেই চিন্তা করছেন এর জন্য যারা ঘর হারাবে তাঁদের নিয়ে৷ অভিযোগ রয়েছে, বাঘের অভয়াশ্রম করার সময়ও অনেককে উৎখাত করা হয়েছিলো৷ আর পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ তাঁরা পাননি৷ বাঘের বেলায় যা হয়েছে, চিতার বেলায় যেন তা না হয়, সেটাই তাঁদের প্রত্যাশা৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক