1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিলিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭০৮

১ মার্চ ২০১০

চিলিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০৮-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেট৷ তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/MEd0
কনসেপসিয়নের বর্তমান অবস্থাছবি: AP

প্রেসিডেন্ট বাচেলেট সাংবাদিকদের বলেন, সরকার দুর্গতদের মধ্যে জরুরী খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে৷ ভূমিকম্পে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান৷ সারা দেশে প্রায় পাঁচ লক্ষ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তাও কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাচেলেট৷

এদিকে ধ্বংস ও পরিত্যক্ত দোকানপাট ও ঘরবাড়ি থেকে জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে৷ কনসেপসিয়নে একটি দোকান থেকে খাবার ও তৈজসপত্র লুটকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে পানি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে চিলির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কনসেপসিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷

Erdbeben in Chile 2010 Flash-Galerie
একটি সুপার মার্কেটে লুটের ঘটনাছবি: AP

অরল্যান্ডো সালাজার নামের একজন লুটেরা বলেছে, তারা দুদিন ধরে না খেয়ে আছে, তাই লুট করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় ছিল না৷

লুটের ঘটনা বন্ধে সরকার কনসেপসিয়ন ও মাওলে অঞ্চলে রাতের বেলায় কারফিউ জারি করেছে৷ এছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷

এদিকে চিলির সরকার ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারির ক্ষেত্রে ভুলের কথা স্বীকার করেছে৷ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্রান্সিসকো ভিদাল বলেছেন, নৌবাহিনীর ভুলের কারণে শনিবার সুনামির সতর্কতা জারির সময় কম মাত্রার আভাস দেয়া হয়৷ কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট একটি বড় ঢেউয়ের আঘাতে পেনকো শহর ও এর আশেপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে৷

চিলির বৃহত্তম তামার খনিতে রবিবার আংশিক কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের অভাবে পুরোপুরিভাবে কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা বলে কর্তৃপক্ষ বলছে৷ এর ফলে তামা রপ্তানি কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ শনিবারের ভূমিকম্পে এই খনিটিরও কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ উল্লেখ্য, চিলি বিশ্বের সবচেয়ে বড় তামা রপ্তানিকারক দেশ৷

Zerstörung nach Erdbeben in Chile
চিলির আরেকটি বিধ্বস্ত অঞ্চলছবি: AP

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন একদিনের সফরে মঙ্গলবার চিলি যাবেন৷ সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট বাচেলেটের সঙ্গে ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন৷

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ভূমিকম্প দেশটির শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে৷ এতে চিলির মুদ্রার পেসোর মান দুর্বল হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন তাঁরা৷ এদিকে বেসরকারী একটি সংস্থার হিসেবে, চিলির অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জাতীয় উত্পাদনের প্রায় ১৫ শতাংশ৷

ভূমিকম্পের পর সান্তিয়াগোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার বিমান ওঠানামা শুরু করেছে৷

প্রতিবেদকঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ অরুণ শঙ্কর চৌধুরী