1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিলির কারাগারে নিজেরাই আগুন ধরালো বন্দিরা

৯ ডিসেম্বর ২০১০

চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোর একটি কারাগারে অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ জানা গেছে, কারাগারের বন্দিদের কেউ কেউ এই আগুন লাগানোর পেছনে রয়েছে৷ এই ঘটনাকে নির্মম বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা৷

https://p.dw.com/p/QTo0
কারাগারের বাইরে স্বজনদের আহাজারিছবি: picture alliance / dpa

বন্দিরাই আগুন লাগিয়েছে

আগুন লাগলো কীভাবে সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি৷ তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের বন্দিরাই এই ঘটনার জন্য দায়ী৷ স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে৷ ওই সময় বন্দিরা তাদের নিয়মিত রুটিনের অংশ হিসেবে জড়ো হয়েছিলেন৷ কারাগারের চার তলায় বেশ কিছু বন্দির মধ্যে এই সময় মারামারি শুরু হয়৷ তাদেরই কয়েকজন বিছানাপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই আগুন আশপাশের কক্ষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে৷ এই ঘটনার পর পর প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এই আগুন ধরানো হয়েছে৷

আগুন লাগিয়ে নিজেরাই শিকার বন্দিরা

অগ্নিকাণ্ডের ফলে সেখানে থাকা বন্দিরাই মূলত এর শিকার হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত ৮১ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি৷ এছাড়া আরও ২১ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে৷ বন্দিদের বাইরে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন কারারক্ষীও অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন৷ এদিকে বুধবার ছিল ছুটির দিন৷ তাই বন্দিদের স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ কিন্তু ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে তাদের আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে৷ তার ওপর আহত ও নিহতদের তালিকায় ভুল থাকায় তা নিয়ে স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কারা কর্তৃপক্ষের ওপর৷ তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে পুলিশ৷ জানা গেছে, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ৯০০, কিন্তু সেখানে বন্দির সংখ্যা ছিল ১৯০০৷ ফলে হতাহতের সংখ্যাও অনেক বেশি৷

চিলির প্রেসিডেন্টের শোক

এদিকে এই ঘটনার পর সেখানে গিয়েছিলেন চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা৷ তিনি এই ঘটনাকে নির্মম ট্রাজেডি বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন যে বর্তমান কারা ব্যবস্থা দেশের জন্য একটি অসম্মানজনক ব্যাপার৷ উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পের ফলে চিলির আটটি কারাগার বিধ্বস্ত হয়৷ ফলে অন্যান্য কারাগারগুলোতে বন্দির চাপ অনেক বেড়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই