1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশেষ খাতিরের বিপদ

মাথিয়াস ফন হাইন/এসি২৮ মে ২০১৩

বেইজিং-এ আজকাল শোনা যায়: ‘‘ব্রাসেলসে কিছু আদায় করতে হলে, আগে বার্লিন যেতে হবে৷’’ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং দৃশ্যত সেই যুক্তির বশেই জার্মানি সফর করছেন, বলে ডিডাব্লিউ-এর চীনা বিভাগের প্রধান মাথিয়াস ফন হাইন-এর ধারণা৷

https://p.dw.com/p/18enn
China's newly elected Premier Li Keqiang (2nd R) answers a question during the annual news conference following the closing session of the National People's Congress (NPC), at the Great Hall of the People in Beijing, March 17, 2013. REUTERS/Jason Lee (CHINA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

লি কোচিয়াং যে শুধু প্রথমে জার্মানি সফর করছেন, এমন নয়৷ এ যাত্রায় তিনি গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুধুমাত্র জার্মানি সফর করছেন৷ চীনের কাছে জার্মানি হলো ইউরোপে আলাপচারিতার প্রথম ঠিকানা৷ ইইউ-তে সংরক্ষণনীতি মাথা চাড়া দেওয়ার উপক্রম করলে, বেইজিং বার্লিনেই আশ্বাস খোঁজে৷ ইইউ-এর সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক বিরোধ বাধলে জার্মানিরই সর্বাধিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা৷ কেননা চীন ইতিমধ্যে জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী হয়ে উঠেছে৷

PRITZWALK, GERMANY - SEPTEMBER 12: Robots at the Aleo factory assembles solar panels that will convert light from the sun into electricity on September 12, 2012 in Pritzwalk, Germany. Aleo, which is owned by German engineering group Bosch, is fairing better than many of its competitors but a spokesman admitted the company is also suffering from the gradual reduction of the feed-in compenstation rates set by the German government, which gurantee fixed prices for electricity delivered into the German electricity grid. Several other solar industry firms in eastern Germany, including Q.Cells, Sovello and Solarwatt AG, have gone into bankruptcy this year. Aleo mainly produces solar panels installed on the roofs of residential houses. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)
চীনে জার্মান পণ্যের চাহিদা পূর্বাপর অটুট, যে কারণে জার্মানি মোটামুটি বহাল তবিয়তেই ইউরো সংকটের ধাক্কা সামলে উঠতে পেরেছেছবি: Getty Images

চীনে জার্মান পণ্যের চাহিদা পূর্বাপর অটুট, যে কারণে জার্মানি মোটামুটি বহাল তবিয়তেই ইউরো সংকটের ধাক্কা সামলে উঠতে পেরেছে৷ কাজেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আপাতত চীন থেকে আমদানিকৃত সোলার প্যানেলের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্বভাবতই তার বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন৷ অপরদিকে এই ইউরো সংকটে ত্রাণকর্তা হিসেবেও বেইজিং-এর একটা ভূমিকা থাকতে পারে, বলে বার্লিনের ধারণা৷ সেই ইউরো সংকট চীনের পক্ষেও খুব স্বাস্থ্যকর নয়, কেননা চীনে উৎপাদিত পণ্যের সবচেয়ে বড় গ্রাহকরা এই ইউরোপে বসে৷ এবং সংকটে সেই গ্রাহকরা তাদের ফরমায়েশ কমালে, সুদূর চীনে কারখানা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷

চীন ও জার্মানির মধ্যে তথাকথিত ‘সংলাপ' চলেছে অন্তত ৬০ রকমের – গুণেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং-এর সফর আবার প্রমাণ করল যে, উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে না৷ সেই সম্পর্ক এখন এতটাই গভীর যে ক্ষেত্রবিশেষে ‘‘বিশেষ সম্পর্কের'' কথাও বলা হয়ে থাকে৷ কিন্তু সে ‘‘বিশেষ সম্পর্ক'' জার্মান অথনীতির পক্ষে যতই অর্থকরী হোক না কেন, তা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ চীনা নীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা নিয়ে চিন্তার কারণও আছে বৈকি৷

epa03374742 German Chancellor Angela Merkel (L) and Chinese Premier Wen Jiabao hold bilateral talks inside the Great Hall of the People in Beijing, China, 30 August 2012. Merkel is on a two-day official visit to China. EPA/DIEGO AZUBEL / POOL +++(c) dpa - Bildfunk+++
চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও’র সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (বামে)ছবি: picture alliance / dpa

চিন্তা মূলত এই নিয়ে যে, অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিভাজন আনা সম্ভব হয়, তাহলে ইউরোপ কোনোদিনই তার যথাযুক্ত রাজনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে না৷ অন্যদিকে যতদিন পর্যন্ত না ইইউ একটি যৌথ চীনা নীতিতে আসতে পারছে, ততদিন অন্তত বার্লিনকে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে খানিকটা তাল মিলিয়ে চলতে হবে, আলাপ-আলোচনা করতে হবে৷ একমাত্র এভাবেই ইউরোপ বহির্বিশ্বে তার মূল্যবোধ প্রদর্শন করতে পারবে, বোধগম্য করে তুলতে পারবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য