1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা লেখকের জার্মানি সফরে বাধা

১ মার্চ ২০১০

জার্মান সরকারের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও লেখক লিয়াও ইউ’কে কোলনের সাহিত্য উৎসবে আসতে না দিয়ে তাঁকে গৃহবন্দি করেছে চীন৷ লিয়াও ইউ-র বিদেশ যাত্রায় চীন সরকারের এমন বাধা এই প্রথম নয়৷

https://p.dw.com/p/MHD6
ফাইল ফটোছবি: Liao Yiwu

এর আগে, গত অক্টোবরে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলাকে কেন্দ্র করেও সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি৷ চীন সরকার তখন বইমেলায় অংশ নিতে দেয়নি তাঁকে৷ এবারও তাই হলো, জার্মানি সফরের বদলে গৃহবন্দি হলেন তিনি৷ বিষয়টি নিয়ে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে লিয়াও ডয়চে ভেলেকে জানান, সাড়ে এগারোটার দিকে আমার প্লেন ছাড়ার কথা ছিল৷ নিরাপত্তা চেকিং পার হয়ে আমি বিমানে উঠে বসেছিলাম৷ কিন্তু তারপর এক বিমান কর্মী আমাকে জানালো ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে৷ তখনই বুঝেছিলাম কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে৷ দরজায় গিয়ে দেখি এক পুলিশ কর্তা অপেক্ষা করছে আমার জন্য৷

Liao Yiwu
কোলনেও চীনের এই ঐতিহ্যবাহী বাদ্য বাজানোর কথা ছিল লিয়াও (ফাইল ফটো)ছবি: Liao Yiwu

ইতিমধ্যেই লিয়াও ইউ-র জার্মানি ভ্রমণ বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ এই ঘটনার সমালোচনা করে ভেস্টারভেলে বলেছেন, জার্মান সরকার উচ্চতর পর্যায়ে চীনের কাছে এই যাত্রার অনুমতি পেতে একাধিকবার চেষ্টা করে সফল হয়নি৷ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, খুব শীঘ্রই হয়তো চীনের কাছ থেকে জার্মানি সফরের অনুমতি পাবেন লিয়াও৷

অবশ্য লিয়াও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই থানায় নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাঁকে৷ বলেছে, কোলনের সাহিত্য উৎসবে যেতে পারবেন না তিনি৷ শুধু তাই নয়, পুলিশ নাকি তাঁকে শাসিয়েছে কড়া ভাষায়৷ লিয়াও জানান, তারা বলেছে, আপনি যা খুশি তাই করা চালিয়ে যেতে পারেন না৷ আমি বলেছি, উৎসবে অনেক শ্রোতা থাকবে৷ এবং সেখানে আমার নিজস্ব কিছু কবিতা আবৃত্তি ছাড়াও চীনের ঐতিহ্যবাহী বাদ্য বাজানোর কথা রয়েছে৷ কিন্তু তারা বলেছে, এটা জাতীয় ইস্যু৷

এই ঘটনার আগেই অবশ্য গত মাসে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন লিয়াও৷ বলেছিলেন, চীন সরকার তাকে সাহিত্য উৎসবে যোগ দিয়ে সেখানে কথা বলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে৷ সাহায্য চেয়ে তাঁর এই বার্তা চীনের মানবাধিকার বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পায়৷

কিন্তু তাতেও কাজ কিছুই হলো না৷ বরং লিয়াও-র সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠলো তাঁর অসহায়ত্ব৷ তিনি বলেন,আমি এই মুহুর্তে কিছুই করতে পারছি না৷ আমি শুধুমাত্র ঘরেই থাকতে পারি৷ কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই আমার৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে চীনের তিয়েনআনমেন হত্যাকান্ড নিয়ে একটি কবিতা লিখে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি, সাহিত্যিক এবং চিত্রনাট্যকার লিয়াও ইউ৷ এমনকি সেই কবিতার জন্য ৪ বছর কারাভোগও করতে হয় তাঁকে৷ এরপর থেকেই চীন সরকারের কড়া নজরদারিতে আছেন লিয়াও৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক