1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের মার্সিডিজ তৃতীয়

৩১ মে ২০১৪

চীনের বাসিন্দারা যতই সমৃদ্ধির মুখ দেখছেন, ততই তাঁদের বিলাসবহুল, নামি-দামি বিদেশি গাড়ির প্রতি আসক্তি বাড়ছে৷ তার থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে জার্মানির তিন ‘লাক্সারি কার মেকার’: আউডি, বিএমডাব্লিউ এবং মার্সিডিজ৷

https://p.dw.com/p/1C9Nr
মার্সিডিজ গাড়ির সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন চীনা মডেলছবি: picture-alliance/dpa

চীন এখন বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার৷ সেই বাজারে গতবছর আউডি বেচেছে ৪ লাখ ৯২ হাজার গাড়ি; বিএমডাব্লিউ বেচেছে ৩ লাখ ৬২ হাজার; আর ডাইমলার বেচেছে মাত্র ২ লাখ ২৮ হাজার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি

ডাইমলারের পিছিয়ে পড়ার নানা কারণ আছে: চীনে প্রবৃদ্ধি স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে ডাইমলারের বহুদিন সন্দেহ ছিল৷ ওদিকে স্বদেশে শ্রমিক সংগঠনগুলির বিশেষ চিন্তা ছিল, ডাইমলার যাতে জিন্ডেলফিংগেন-এ তাদের মূল কারখানা থেকে উৎপাদন বিদেশে স্থানান্তরিত না করে৷ তৃতীয়ত, ডাইমলারের পাইরেসির ভয়, বিশেষ করে চীনে: অর্থাৎ ডাইমলারের প্রযুক্তি যাতে বিনা লাইসেন্সে কপি না করা হয়৷

Bollywood Schauspieler in dem Auto Expo New Delhi 2012
আউডি গাড়ির সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফছবি: Reuters

ওদিকে চীনে সম্প্রসারণের একমাত্র পন্থা হলো কোনো চীনা কোম্পানি কিংবা সংস্থার সঙ্গে যুগ্ম উদ্যোগ বা সহযোগিতা৷ এ ধরনের সহযোগিতার ফলে আইনসম্মত টেকনোলজি ট্রান্সফারের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা বেআইনি প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিপদ কিংবা আশঙ্কা থেকে যায়৷ দৃশ্যত ডাইমলার এবার সেই শঙ্কা কাটিয়ে উঠে আউডি এবং বিএমডাব্লিউ-কে ধরার চেষ্টা করবে৷

ডাইমলারের মতিগতি বদলানোর পিছনে চীন সরকারেরও খানিকটা অবদান আছে৷ চীনা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কপিরাইট লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আরো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ অপরদিকে ডাইমলারের হর্তাকর্তারাও উপলব্ধি করেছেন যে, চীনে বিক্রিবাটা বাড়ানোর একমাত্র পথ হলো চীনা সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা৷

কাজেই এ বছর থেকে ডাইমলার তাদের সর্বাধুনিক সি-ক্লাস মডেলটি জার্মানি এবং চীন, উভয় স্থানেই উৎপাদন করবে৷ ডাইমলার তাদের চীনা সহযোগী বেইজিং অটোমোটিভ গ্রুপ কোম্পানির সঙ্গে যে ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার' কোম্পানিটি চালায়, সেটির নাম হলো বেইজিং বেঞ্জ অটোমোটিভ কোম্পানি বা বিবিএসি৷ এই বিবিএসি নাকি ডাইমলারের কমপ্যাক্ট জিএলএ মডেলটির একটি নতুন প্রোডাকশন লাইন শুরু করার কথা ভাবছে৷

এক্ষেত্রে গোড়াতেই ডাইমলারকে তাদের পাইরেসি সংক্রান্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অতিক্রম করতে হয়েছে, কেননা সি-ক্লাস কিংবা জিএলএ মডেলগুলি চীনে উৎপাদন করতে গেলে প্রথমে চীনা কর্তৃপক্ষকে নানারকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিতে হবে, যা করার জন্য মার্সিডিজ চীনা কর্মকর্তাদের গাড়ির বিভিন্ন অংশের নমুনা নিতে দিচ্ছে; চীনা কর্মকর্তারা নতুন মডেলের গাড়িগুলো মাপজোক করারও সুযোগ পাচ্ছেন৷

‘‘এক কথায় বলতে গেলে, আমরা বাস্তবজ্ঞান হস্তান্তর করছি,'' বলেছেন বেইজিং বেঞ্জ-এর ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের প্রধান রেনে রাইফ৷ অথচ মনে রাখতে হবে, ডাইমলার চীনে মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়ি তৈরি করতে শুরু করে মাত্র আট বছর আগে৷ গতবছরেই চীনে তাদের প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি পৌঁছায় ১ লাখ ২০ হাজার গাড়িতে৷ সে তুলনায় আউডি চীনে গাড়ি তৈরি করছে গত ২৬ বছর ধরে, কিন্তু তাদেরও ঐ অঙ্ক পার হতে ২০০৭ সাল অবধি সময় লেগে গেছে৷

এখন ডাইমলার বলছে, তাদের বেইজিং কারখানার উৎপাদন বাড়িয়ে নাকি বছরে সাড়ে তিন লাখ করাটা কোনো শক্ত কাজ নয়৷ কাজেই চীনে তিন জার্মান ‘লাক্সারি কার মেকার'-এর প্রতিযোগিতা এবার জমে উঠতে চলেছে৷ গতবছর চীনে মার্সিডিজের বিক্রি বাড়ে ২৭ শতাংশ, বিএমডাব্লিউ-এর ১৯ শতাংশ এবং আউডি-র ১২ শতাংশ৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য