1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহ নির্যাতন আইনের খসড়া

৩০ নভেম্বর ২০১৪

মাত্র তিন বছর আগে চীনে শারীরিক নির্যাতনকে তালাকের আবেদন করার অন্যতম গ্রহণযোগ্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয়৷ এরপর এবার প্রথমবারের মতো গৃহ নির্যাতন আইনের খসড়া তৈরি করা হলো৷

https://p.dw.com/p/1Dwyw
Symbolbild China Frauen Alltag 2013
ছবি: AFP/Getty Images/E. Jones

দেশটিতে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি, খসড়ায় কয়েকটি বিষয় স্থান না পাওয়ায় সে ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তাঁরা৷

বেইজিং ভিত্তিক ‘ম্যাপল ওমেনস সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং সেন্টার' গৃহ নির্যাতন ইস্যু নিয়ে কাজ করা চীনের অন্যতম বড় একটি সংগঠন৷ তার এক কর্মকর্তা হু ঝিমিং বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমরা আইনের অভাবে নিজেদের ক্ষমতাহীন ভাবতাম৷ এখন যদি খসড়াটি সত্যিই আইনে পরিণত হয় তাহলে আমরা খুব খুশি হব৷''

তবে প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, অবিবাহিত ও তালাকপ্রাপ্তরা এই আইনের সুবিধা পাবেন না৷ এ বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ ইউএন ওমেন-এর চীনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইউলিয়া ব্রুসার্ড বলেন, ‘‘চীনা কর্মীদের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে করা দাবির প্রেক্ষিতে খসড়া প্রকাশিত হওয়ায় জাতিসংঘ ‘রোমাঞ্চিত'৷ তবে আমরা দেখছি যে, পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে যাঁরা আছেন তাঁরা এর আওতায় পড়বেন না৷ অথচ আমরা জানি, পারিবারিক সম্পর্কের বাইরেও গৃহ নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, যেমন ডেটিং, একসঙ্গে বসবাস কিংবা সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে ইত্যাদি৷ ফলে আমাদের আশঙ্কা প্রস্তাবিত খসড়া পাস হলে তার সুবিধা থেকে একটা অংশ বাদ পড়ে যেতে পারে৷''

চীনের সরকারি সংবাদপত্র ‘চায়না ডেইলি'-তে প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুযায়ী, সে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী, যাঁরা বিবাহিত কিংবা একটা সম্পর্কে জড়িত, তাঁরা শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন৷

প্রস্তাবিত খসড়ায় কোন বিষয়গুলো গৃহ নির্যাতন কিংবা পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে পড়বে, তা বলে দেয়া আছে৷ বর্তমানে এসবের অভাবে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেও কোনো বিচার পান না৷ শুধুমাত্র মারাত্মকভাবে আহত হলেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)