1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে প্রথমবারের মতো চালু হলো ‘ভাষা পরীক্ষা’

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ আজও বিশ্বের সব ভাষা প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়নি৷ এরই মধ্যে চীনের সংখ্যালঘু ‘চুয়াং’ গোষ্ঠীর ভাষার জন্য সুখবর শোনা গেল৷

https://p.dw.com/p/10KzO
চীনা ভাষার সংবাদপত্র

চীনে সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬টি উপজাতি রয়েছে এবং তাদের প্রায় শতাধিক ভাষা হুমকির মুখে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

এ অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পরিকল্পনা করছে চীন৷ প্রথমবারের মত ‘ভাষা পরীক্ষা' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এবং সেটা ‘চুয়াং' ভাষার জন্য৷ চীনের দক্ষিণে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি লোক এই ভাষায় কথা বলে৷ থাই ও লাও ভাষার সঙ্গে চুয়াং'এর মিল রয়েছে৷ আজকাল রোমান হরফেই এই ভাষা লেখা হয়৷

Flash-Galerie wöchentliche iranische Galerie
তেহরানে একটি চীনা ভাষার স্কুলে ক্লাশ নেওয়া হচ্ছেছবি: MEHR

সরকারের ঘোষণার ফলে এখন থেকে যেসব চাকরি করতে চুয়াং ভাষা লাগবে, সেসব ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের ঐ ভাষায় কেমন দখল আছে, তা প্রমাণের একটা পরীক্ষা দিতে হবে৷

এ প্রসঙ্গে সরকারি এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা শিনহুয়াকে বলেছেন, চুয়াং ভাষাকে বাঁচাতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তিনি বলেন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেসব অঞ্চলে চুয়াং ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন, সেখানকার টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সাব-টাইটেলে এই ভাষার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না৷ যেটা ঠিক নয়৷

উল্লেখ্য, তিব্বত ও উইগুর অঞ্চলের মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে৷ এবং তাদের সংখ্যাও অনেক৷ তাই সরকারের পক্ষ থেকে এই দুই ভাষার উন্নতির জন্যও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷

অবশ্য সমালোচকদের দাবি, সরকার জাতীয় ভাষা ম্যান্ডারিনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার দিকে তেমন নজর দিচ্ছে না৷ এ প্রসঙ্গে তারা বলেন তিব্বত ও শিনচিয়াং এলাকার স্কুলগুলোতে ম্যান্ডারিন ভাষার ওপর জোর দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষে থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন