1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে ফুটবলের হাঁড়ির হাল

১৪ মে ২০১১

চীনা জাতীয় ফুটবল একাদশের প্রাক্তন কোচ, হল্যান্ডের আরি হান এবার প্লেয়ারদের মাঠে ‘এ্যাক্টিং করা' থেকে শুরু করে চরম শৃঙ্খলাহীনতার তুলো ধুনে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/11FzI
কোচ আরি হানছবি: AP

আজ ৬২ বছরের আরি হান'কে প্লেয়ার হিসেবে অনেকের মনে থাকতে পারে: ১৯৭৮'এর বিশ্বকাপে ইটালির বিরুদ্ধে ৪০ মিটার দূরত্ব থেকে একটি রকেট শট নেওয়ার জন্য৷ এবার অনেক কাছ থেকেই ‘শট' নিয়েছেন হান৷ বলেছেন, চীনের প্লেয়াররা সবাই শো-ম্যান৷ সব সময়েই ফাঁকি দিচ্ছে৷ একটা ছোট ঠেলা খেলেই পড়ে গিয়ে ফাউল নেবার চেষ্টা করছে৷ আবার রেফারি হুইসল বাজালেই উঠে দাঁড়াচ্ছে৷ মাঠে রেফারিকে গালাগাল করার ঘটনাও আকছার ঘটছে৷ এই পুরো পরিবেশটার পরিবর্তন দরকার, প্লেয়ারদের পরিবর্তন দরকার, বলেছেন হান৷

২০০২ সালের বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করার পর চীনের ফুটবল প্লেয়ারদের জাতীয় হিরো হিসেবে সংবর্ধনা জানানো হয় – যদিও বিশ্বকাপে গিয়ে তারা কোনো ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা, একটি গোল পর্যন্ত করতে পারেনি৷ তবে সুন জিহাই এবং লি তিয়ে'র মতো প্লেয়াররা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে, যার ফলে বিশ্ববাসী চীনের ফুটবল সম্পর্কে সচেতন হয়েছে৷ কিন্তু তার পর পরই চীন থেকে একাধিক ম্যাচ-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির খবর পাওয়া যায়৷ অপরদিকে পরবর্তী প্রজন্মের চীনে প্লেয়াররাও যে বিদেশে খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে, এমন নয়: যেমন মিডফিল্ডার হাও জুনমিন জার্মানির জনপ্রিয় শালকে দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি৷

Hao Junmin
হাও জুনমিনছবি: AP

হানের অপর চিন্তা হল নতুন, প্রতিভাধর প্লেয়ার খুঁজে বের করা নিয়ে৷ শুনলে অবিশ্বাস্য লাগে, কিন্তু ১৫০ কোটি মানুষের দেশ চীনে জাতীয় ফুটবল সমিতির কাছে ১৮ বছরের নীচে মাত্র সাত হাজার প্লেয়ারের নাম লেখানো আছে৷ জাপানে সে তুলনায় রেজিস্ট্রিকৃত আন্ডার এইটটিন প্লেয়ারদের সংখ্যা হল পাঁচ লাখ! দ্বিতীয়ত, ২০০৪ সালে বেইজিং'এ এশিয়ান কাপের ফাইনাল খেলায় চীন জাপানের কাছে ৩-১ গোলে হারা যাবৎ এশীয় ফুটবলে চীনের তারকা অনেকটা ম্লান হয়ে এসেছে৷ এবং তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রে আজ বাসকেটবল স্টার ইয়াও মিং'এর মতো কোনো প্রেরণাদায়ক প্লেয়ার আজ চীনা ফুটবলের নেই৷ কাজেই চীনের ফুটবলকে নিয়ে আজ সবাই চিন্তিত, বলেছেন আরি হান৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন