1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুক্তির ব্যাপারে আইএইএ’কে জানালো ইরান

২৪ মে ২০১০

দেশের বাইরে ইউরেনিয়াম পাঠানো নিয়ে সম্প্রতি স্বাক্ষর করা চুক্তির বিষয়ে আইএইএ’কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো ইরান৷ সংস্থাটির প্রধানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন ইরানের কয়েকজন কূটনীতিক৷

https://p.dw.com/p/NVnb
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলি আকবর সালেহিছবি: AP

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলি আকবর সালেহি ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের উদ্বেগ কমাতে চুক্তিটি সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন৷ এছাড়া আইএইএ চুক্তির বিষয়টি ভিয়েনা গ্রুপকে জানাবে এবং এরপর ভিয়েনা গ্রুপ এই ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে সালেহি আশা করছেন৷ উল্লেখ্য, ভিয়েনা গ্রুপের সদস্য হলো রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র৷ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-আলম ও বার্তা সংস্থা ফারস্ চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে৷

ইরানের কয়েকজন কূটনীতিক ভিয়েনাতে আইএইএ'র প্রধান ইউকিয়া আমানো'র কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন৷ এসময় ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে৷ তবে এই বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইরানের এক কূটনীতিককে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কিছু জানাননি৷

তবে এরপরও যদি জাতিসংঘ ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে ইরান চুক্তি থেকে সরে আসবে বলে হুমকি দিয়েছে৷ আগামী মাসে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ইরান, তুরস্ক ও ব্রাজিলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনার পর তিন দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ এই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার দেশের ১,২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাতে রাজি হয়েছে৷ বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া ইরানকে দেবে ১২০ কেজি পরমাণু জ্বালানী, যা তেহেরানের একটি পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহার করা হবে৷ যেখানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিও-আইসোটোপ তৈরি করা হয়৷ উল্লেখ্য, ইরানে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম থাকলে দেশটি তা দিয়ে বোমা তৈরি করতে পারে বলে পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা ছিল৷ আর তাই বেশ কিছুদিন থেকেই অন্য কোনো দেশে ইউরেনিয়াম পাঠাতে জাতিসংঘের মাধ্যমে ইরানের উপর চাপ দিয়ে আসছিল পশ্চিমা বিশ্ব৷

তবে চুক্তিটি স্বাক্ষরের পরও বিশ্বের কাছ থেকে প্রত্যাশা মতো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি ইরান৷ উল্টো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিনই ইরানের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার একটি খসড়া তুলে ধরে – যা পরবর্তীতে জাতিসংঘের কাছে পাঠানোর কথা ছিল৷ এই খসড়াতে চীন ও রাশিয়া সহ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ উল্লেখ্য, ক্লিন্টনের এমন ধরণের দাবির আগে চীন ইরানের চুক্তির ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল৷

এদিকে আইএইএ'তে ইরানের কূটনীতিক আলি আসগর সোলতানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তির কারণে ইরানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ হবেনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন