1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে আজ বায়ার্ন বনাম মিলান

২২ মে ২০১০

আজি রাতে আরম্ভ হইবে মহারণ৷ ইউরোপের সেরা কে ? বিশ্বকাপের মুখে সেই প্রশ্নের জবাবটাই মিলবে আজ রাতে৷ চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে, মাদ্রিদে৷

https://p.dw.com/p/NUah
বায়ার্ন আর মিলানের লড়াই আজছবি: DW/AP

এস্টাডিও সান্তিয়াগো বার্নাবেউ স্টেডিয়াম৷ শহরের নাম মাদ্রিদ, দেশ স্পেন৷ ইউরোপের সেরা লীগ, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম ধনী ফুটবল আসরে এই স্টেডিয়ামেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি ইন্টার মিলান, ঠিকানা ইটালি৷ আর বায়ার্ন মিউনিখ, ঠিকানা জার্মানি৷ দুরন্ত একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব৷ অনেকগুলো বড়মাপের লড়াইয়ের ফায়সালা করবে এই ম্যাচের ফলাফল৷ তার মধ্যে দুই কোচের লড়াইটা ভুলে গেলে চলবে না৷

ইন্টারের কোচ জোসে মোরিনহো এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে মুল্যবান কোচ৷ তাঁর জন্য বিপুল অর্থ গুণতে হয়েছে মিলানকে৷ বদলে দলকে তিনি তুলে এনেছেন চ্যাম্প লীগের ফাইনালে৷ মোরিনহোর ট্যাকটিস নাকি অনবদ্য৷ ১৯৬৫ সালের পর এই প্রথমবার ইন্টারের ঘরে যদি চ্যাম্পিয়নের তকমা চলে যায়, তার জন্য মোরিনহোর নাম লেখা হয়ে যাবে স্বর্ণাক্ষরে৷

DFB-Pokal München Fürth Flash-Galerie
রবেন আর রিবেইরি৷ বায়ার্নের রবেন কিন্তু পুরো ফর্মে আছেন৷ রিবেইরি খেলবেন না ফাইনালে৷ছবি: AP

আর এদিকে বায়ার্নের ডাচ কোচ লুই ফান গাল৷ এই মরশুমে দুহাত ভরে দিয়েছেন তিন বায়ার্নকে৷ বুন্দেসলীগায় বায়ার্ন আবার সেরা৷ জিতেছে জার্মান কাপের শিরোপা৷ ফলে টগবগ করে ফুটছে বায়ার্ন৷ ফান গাল বায়ার্নের দুর্দিনে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ বায়ার্নকে আবার সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁর কোচিং৷

মোকাবিলা হবে খেলোয়াড়ে খেলোয়াড়েও৷ দুটি দলেই রয়েছে বিশ্বের শৈল্পিক ছন্দের নামজাদা কিছু ফুটবলার৷ যাঁদের একসঙ্গে এক মাঠে খেলতে দেখাটাও একটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা৷ আছেন আরিয়েন রবেন, সামুয়েল এটো, বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টাইগার, লুসিও-র মত অসামান্য কিছু ফুটবলার৷ বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই বড়মাপের প্রতিযোগিতার ফাইনালের আসরে তাঁদের খেলার মধ্যে অবশ্যই ফুটে উঠবে ফুটবলের সেরার সেরা আসরের প্রস্তুতি৷ দেখা যাবে নতুন স্কিল, নতুনতর স্টাইল, ছন্দ৷ বোঝা যাবে, কার কি সম্ভাবনা দেখা আসন্ন বিশ্বকাপে৷ তাই সব মিলিয়ে উপভোগ্যই হবে আজকের চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল৷

তবে বায়ার্ন জিতে গেলে আনন্দটা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা