1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: লিঁয়’র বিরুদ্ধে জয় পেলো বায়ার্ন মিউনিখ

২২ এপ্রিল ২০১০

ফরাসি দল অলিম্পিক লিয়ঁ এবং জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বুধবার রাতের ফুটবল ম্যাচের সেমিফাইনালের খেলাটি ছিল তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ৷ বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ অ্যালিয়ান্স অ্যারেনায় এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়৷

https://p.dw.com/p/N2Xu
আরিয়েন রবেন৷ গোলের পর তার উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতছবি: AP

খেলায় দুই দলের শক্তিমত্তার দিক থেকে যদি বলতে হয় তাহলে বলতেই হবে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই৷ ৯০ মিনিটের এই খেলায় জয় কিন্তু এসেছে বায়ার্ন মিউনিখের৷ খেলার ৬৯ মিনিটে আরিয়েন রবেনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন৷ এর ফলে ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল এই দলটি৷

নানা ঘটনায় গত বুধবার রাতের ম্যাচটি ছিল মনে রাখবার মতো৷ কারণ, দুই দলকেই খেলতে হয়েছে ১০ জন নিয়ে৷ না শুরু থেকে নয়! শুরুতে দুই দলেই ছিল এগার জন করে খেলোয়াড়৷ ৩৭ মিনিটের মাথায় বিপজ্জনক খেলা খেলতে গিয়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বায়ার্নের অন্যতম খেলোয়াড় ফ্রাংক রিবেরি'কে ৷ এর আগে ১৬ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয় ড্যানিয়েল প্রানজিচকে৷ কিন্তু অলিম্পিক লিয়ঁ গোল না পেয়ে যেন শক্তি প্রয়োগ করতে থাকে৷ তখন বার্য়ানের ১০ জন আর লিয়ঁ তাদের ১১ জন খেলোয়াড় মাঠ দাবড়ে বেড়াচ্ছিল৷ ৫১ মিনিটে একটি বিপজ্জনক ফাউল করায় জেরোমি তুলালাঁকে প্রথমে দেখানো হয় হলুদ সংকেত৷ এরপরও তিনি ছিলেন বেপরোয়া৷ আর এরই মাসুল গুনতে হলো অলিম্পিক লিয়ঁ এর এই খেলোয়াড়কে ৫৪ মিনিটের মাথায়৷ লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে৷

Fußball Champions League Halbfinale 2010 Bayern München Olympique Lyon
অপ্রাপ্তবয়স্ক কলগার্ল সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, পরে মাঠে লাল কার্ড, ভাগ্য ভালো যাচ্ছে না ফ্রাংক রিবেরিরছবি: AP

অবশ্য ক্রীড়া বিশ্লেষকরা দুই দলের কাউকেই ছাড় দিতে নারাজ৷ তারা বলেছেন, দুই দলই খেলার ছন্দময় কৌঁশল দেখানোর পরিবর্তে শারিরীক শক্তির নানা কৌঁশল দেখিয়েছে৷ বলে রাখা ভালো চাম্পিয়ন্স লিগের নিয়ম অনুসারে আগামী ২৭ এপ্রিল দুই দল আবার মুখোমুখি হবে৷ সেই খেলার ভেন্যু অলিম্পিক লিয়ঁর নিজস্ব মাঠে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম