1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাইমেঘ: পরীক্ষামূলক উড়ালে কোনো ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায়নি

১৮ এপ্রিল ২০১০

লুফৎহান্সা এবং কেএলএম শনিবার ইউরোপের আকাশে পরীক্ষামূলক উড়াল চালিয়েছে এবং বিমানগুলিতে আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে কোনো ক্ষতির চিহ্ন খুঁজে পায়নি৷

https://p.dw.com/p/MzPg
লুফৎহান্সাছবি: AP

ওলন্দাজ বিমান পরিবহন সংস্থা কেএলএম বলছে, আরো পরীক্ষা থেকে যদি দেখা যায় যে উড়ালগুলি সফল হয়েছে, তা'হলে তারা রবিবার তাদের সাতটি বিমান জার্মানি থেকে আমস্টারডামে ফেরৎ নিয়ে যাবে এবং কাজকর্ম আংশিকভাবে চালু করার অনুমতি চাইবে৷

জার্মানির লুফৎহান্সা বিমান পরিবহন সংস্থা শনিবার তাদের ১০টি বিমান মিউনিখ থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট পাঠায়৷ সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী বিমানগুলি মোটামুটি ৩,০০০ মিটার উচ্চতায় থেকেছে, তবে ৮,০০০ মিটার অবধি পরিস্থিতি পরীক্ষা করে দেখেছে৷ ফ্রাঙ্কফুর্টে আগমনের পর বিমানগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ দেখা যায় যে ককপিটের জানলার কাঁচে অথবা ফিউজেলাজের কোনো ক্ষতি হয়নি, এবং ইঞ্জিনগুলিও অক্ষত আছে৷

Chaos auf Frankfurter Flughafen nach Vulkanausbruch in Island Flash-Galerie
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভীড়ছবি: AP

কেএলএম বলছে, তারা একটি দুই ইঞ্জিনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানকে নেদারল্যান্ডসের উপর স্বাভাবিক ১০ কিলোমিটার উচ্চতায় চক্কর খাইয়েছে, এমনকি ১৩ কিলোমিটার অবধি উঠেছে, এবং অন্যান্য স্তরেও পরীক্ষা চালিয়েছে৷ দৃশ্যত কেএলএম'ও উড়ালের সময় অথবা মাটিতে নামার পর বিমানগুলিতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি৷ এখন প্রযুক্তিগত পরীক্ষাতেও যদি একই কথা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে কেএলএম আজ রবিবার তাদের সাতটি বিমানকে ড্যুসেলডর্ফ থেকে আমস্টারডামে ফেরৎ নিয়ে যাবে - এবং যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু করার অনুমতি চাইবে৷

ওলন্দাজ সরকারের এক মুখপাত্রী বলেছেন, শনিবারের এই পরীক্ষামূলক উড়ালগুলি নাকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুরোধেই সম্পাদিত হয়েছে৷ দৃশ্যত উড়াল নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যায় কিনা, ইইউ সে ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখতে চায়৷ ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামেও এ'ধরণের পরীক্ষামূলক উড়াল ঘটেছে, বলে মুখপাত্রীটি জানান৷ এবং রবিবারেও এক পর্যায় পরীক্ষামূলক উড়াল চলবে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম