1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি হামলার খবর প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করলো আফগানিস্তান

২ মার্চ ২০১০

তালেবান তথা জঙ্গি হামলার খবর ‘লাইভ’ বা সরাসরি সম্প্রচার করা হলে, তা উগ্রপন্থীদের সাহস আরও বাড়িয়ে দেবে - এ আশঙ্কা করে সোমবার এই ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তর৷

https://p.dw.com/p/MHUp
আফগানিস্তানে আইসাফ বাহিনীর সেনারাছবি: AP

আফগান গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ডিরেকটোরেট অফ সিকিউরিটি' এনডিএস বা জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের মুখপাত্র সৈয়দ আনসারি জানান, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাংবাদিকরা এবার থেকে শুধুমাত্র অনুমতির ভিত্তিতে জঙ্গি হামলার ছবি তুলতে পারবে৷ আর হামলার সময় বিনা অনুমতিতে যদি কোনো সাংবাদিক চিত্র ধারণ করে, তবে তার যন্ত্রপাতি জব্দ করে তাকে আটক করা হবে - সাংবাদিকদের ডেকে এ কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন আনসারি৷ তাঁর কথায়, ‘‘এহেন হামলার ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করলে আফগান সরকারের আদতে কোনো লাভ হয় না৷ বরং এতে একমাত্র আফগানিস্তানের শত্রুরাই লাভবান হয়৷''

ওদিকে, আফগান গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে এই ঘোষণা আসার পর, এর তীব্র নিন্দা জানান দেশটির সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা৷ আফগানিস্তানের জাতীয় গণমাধ্যম ইউনিয়নের প্রধান আব্দুল হামিদ মুবারেজ জানান যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের সাধারণ মানুষ তালেবান বিরোধী লড়াই তথা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে৷ বঞ্চিত হবে ঘটনার প্রকৃত তথ্য আরোহণ থেকেও৷

উল্লেখ্য, তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়ক বাহিনী বা আইসাফ-এর ছয় সদস্য নিহত হওয়ার পর, এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করলো আফগানিস্তান৷ সোমবারও, আফগানিস্তানের দক্ষিণে অবস্থিত কান্দাহার শহরের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় চারজন নিরীহ মানুষ ও এক বিদেশি সেনা নিহত হয়৷ তার পরিচয় জানা না গেলেও, ঐ হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান বিদ্রোহীরা৷

বলাই বাহুল্য, ‘ন্যাটো' দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটিগুলি দখল করতে শুরু করায়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা করতে শুরু করেছে উগ্রপন্থীরা৷ প্রসঙ্গত, বর্তমানে আফগানিস্তানে ১,২১,০০০ আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েন রয়েছে৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক