1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনশক্তি রফতানির চালু বাজার ধরে রাখা জরুরি

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলাদেশ অপ্রচলিত বাজারে ২০ হাজার জনশক্তি রফতানির সুযোগ পেলেও তা তেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা৷ তাঁরা মনে করেন, প্রচলিত বাজার ধরে রেখেই নতুন বাজার খুঁজতে হবে৷

https://p.dw.com/p/PK8j
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ৭০ লাখ (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার৷ আর এখন এই সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০ লাখ৷ তবে এর ৮০ ভাগই রয়েছে মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোতে৷ সাম্প্রতিক সময়ে এসব দেশে জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমেছে৷ এ অবস্থায় শ্রমমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জনশক্তি রফতানীর নতুন বাজারের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, কঙ্গো, সুদান , জর্ডান ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

তবে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলি হায়দার চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, অপ্রচিলত বাজারে এই অল্পসংখ্যক জনশক্তি রফতানি সংকট কাটাতে তেমন সহায়ক হবেনা৷ কারন জনশক্তি রফতানি ৩ ভাগের একভাগে নেমে এসেছে৷ এজন্য অবশ্যই প্রচিলত বাজারকে ধরে রাখতে হবে ৷ কঙ্গো বা সুদানের মত দেশে হাতে গোনা কিছু শ্রমিক পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবেনা৷

তিনি জানান, মালয়েশিয়া ৫ হাজার জেলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে৷ যা অবশ্য কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়েছে৷ কারন এর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল৷ তিনি আরও জানান, শুধু নতুন পুরাতন বাজারই নয় বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে৷ কারন এখন প্রশিক্ষিত শ্রমিকের চাহিদাই বেশী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়