1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনহিতকর সংস্থা মাওবাদীদের সহায়তা করছে বলে অভিযোগ

২২ জানুয়ারি ২০১১

ভারতের ছত্তিশগড়ে জনহিতকর সহায়তার বেশে মাওবাদীদের সহায়তা করছে ডক্টরস উইদাউট বডার্স (এমএসএফ) এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস (আইসিআরসি)৷ ছত্তিশগড়ের প্রশাসনের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা দুটি৷

https://p.dw.com/p/100pR
নিরাপত্তা বাহিনীর মাওবাদী বিরোধী অভিযান (ফাইল ফটো)ছবি: DW

ছত্তিশগড়ের পুলিশ প্রধান সম্প্রতি অভিযোগ করেন, সবচেয়ে বিশৃঙ্খল জেলা দান্তেভাড়ায় গরীবদের সহায়তার নামে মাওবাদীদের চিকিৎসা দিচ্ছে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার বিদেশি ডাক্তাররা৷ একটি ওষুধের দোকান থেকে আটক দুই মাওবাদী বিদ্রোহীকে আটকের পর এই মন্তব্য করেন পুলিশ প্রধান৷ আটক বিদ্রোহীরা দাবি করেছেন, এমএসএফ এবং আইসিআরসি'র লোকেরা তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে৷

আইসিআরসি'র যোগাযোগ সমন্বয়ক এলেক্স হিব এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি বলেন, আমরা দান্তেভাড়ার পুলিশ প্রধানের বিবৃতিতে বিস্মিত হয়েছি৷ বিশেষ করে তিনি এমন এক সময়ে এই অভিযোগ তুললেন যখন, দান্তেভাড়ে আইসিআরসির কোন সক্রিয় প্রকল্প নেই৷

বলাবাহুল্য, ছত্তিশগড় হচ্ছে ভারতের মাওবাদীদের সহিংসার কেন্দ্রবিন্দু৷ এই অঞ্চলে নিয়মতিই মাওবাদী গেরিলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলে৷ কিছুদিন আগে এই রাজ্যের চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে অ্যাম্বুলেন্স সহায়তাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে আইসিআরসি৷

এদিকে ছত্তিশগড়ে অবস্থানরত এমএসএফ-ভারত এর প্রধান মার্টিন স্লোটও পুলিশ প্রধানের অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷ এই সংগঠনের কিছু ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক দুর্গম এবং হাসপাতালবিহীন এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে৷ এই প্রসঙ্গে মার্টিন জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিংবা সংঘাতের সঙ্গে এমএসএফ এর কোন সম্পর্ক নেই, পৃথিবীর কোন অঞ্চলেরই এধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে এমএসএফ সম্পর্কিত নয়৷ যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন,আমরা শুধু সেইসব মানুষকেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করি৷ অস্ত্র এবং ইউনিফর্মবিহীন প্রত্যেক বেসামরিক মানুষ আমাদের ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে পারেন৷ এক্ষেত্রে কে কোন লিঙ্গের বা কার রাজনৈতিক মতাদর্শ কি কিংবা গায়ের রং বা অন্য কোনকিছুই বিবেচ্য নয়৷

উল্লেখ্য বছরখানেক আগে ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা, ঝাড়খান্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী দমনে কঠোর অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এই অভিযানে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হাজার বিশেক আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ রয়েছে৷ সবমিলিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বর্তমানে হাজার পঞ্চাশেক আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং পুলিশ মাওবাদী বিরোধী অভিযানে অংশ নিচ্ছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা