1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জন্মান্ধদের আলো দেখাচ্ছেন জার্মান চিকিৎসকরা

৩ নভেম্বর ২০১০

জার্মান ডাক্তাররা জন্মান্ধদের দেখতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছেন৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চোখের রেটিনায় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Pwof
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন জার্মান চিকিৎসকরা (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance / dpa

রেটিনায় একটি ডিভাইস লাগিয়ে দেওয়ার ফলে, যারা জন্মান্ধ, তারাও কিছুটা হলেও দেখতে পাচ্ছেন৷ তিন জন রোগীর চোখে নতুন এই ডিভাইস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তারা বস্তুর আকার এবং বস্তুটি দেখতে পাচ্ছেন৷ তাদের মধ্যে একজন ঘরের মধ্যে একাই হাঁটতে সমর্থ হয়েছেন৷ লোকজনের কাছে গিয়ে কথা বলতে পেরেছেন, দেখতে পেয়েছেন ঘড়িতে কটা বাজে এবং সাতটি শেডের মধ্যে পার্থক্যও করতে পেরেছেন৷

ব্রিটেনের বিজ্ঞান একাডেমি, রয়্যাল সোসাইটি বলছে, তাদের একটি জার্নালে সংশ্লিষ্ট গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে৷ বলা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের দেখতে সহায়তা করার জন্যে এই ইলেকট্রনিক ডিভাইস এক অভূতপূর্ব অগ্রগতির সূচক৷

রেটিনিটিস পিগমেনটোসার কারণে বিশ্বে যারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেইরকম দুই লক্ষাধিক মানুষের জীবনে এই ব্যবস্থা বিপ্লব ঘটাতে পারে৷ রেটিনিটিস পিগমেনটোসা এমন একটি রোগ, যার কারণে অক্ষিগোলকের পেছনে রেটিনার আলো গ্রহণের ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়৷

এই ইলেক্ট্রনিক ইমপ্ল্যান্ট ব্যবস্থারর প্রবর্তক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে রেটিনার সঙ্গে এটি লাগিয়ে দিচ্ছেন৷ যার সঙ্গে বাইরের দিকে একটি ছোট ক্যামেরার সংযোগ থাকে৷ চশমার কাঁচের ওপরে লাগানো থাকে এই ক্যামেরা৷ এই ক্যামেরা আলো সংগ্রহ করছে এবং বৈদ্যুতিক সিগন্যালের আদলে, প্রসেসর ইউনিটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছে ডিভাইসে৷ ডিভাইসটি ড্যাটাগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছে চোখের নার্ভের কাছে৷ আর এই নার্ভ আইবলের মাধ্যমে সংকেত পাঠাচ্ছে মস্তিষ্কে৷

নতুন এই ডিভাইসটি আরো একধাপ এগিয়ে আলো সংগ্রহ করছে এবং যা প্রাকৃতিকভাবেই আই লেন্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে৷ চোখের নার্ভের মাধ্যমে ব্রেন যা গ্রহণ করছে, তা কেবলমাত্র একটি ছোট্ট ছবি ৩৮ বাই ৪০ পিক্সেল মাত্রার৷

জার্মানির ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর অপথালমিক রিসার্চ'এর সহযোগিতায় এই ইলেকট্রনিক দৃষ্টিদানকারী ডিভাইসটির উন্নয়ন ঘটিয়েছে জার্মান কোম্পানি, রেটিনাল ইমপ্ল্যান্ট৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক