1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?

৯ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানির বন শহরে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন৷ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলো জানতে চাইছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার অর্থ কোথা থেকে আসবে৷

https://p.dw.com/p/2nKa9
COP23 UN Klimakonferenz in Bonn
ছবি: Imago/CoverSpot/B. Lauter

বাংলাদেশ সহ কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও এর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অতিবৃষ্টি, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরাসহ নানান দুর্যোগের মুখে পড়ছে দেশগুলো৷ প্রতিটি দুর্যোগের পর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি দেশকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোর প্রশ্ন হচ্ছে, শিল্পোন্নত দেশগুলো যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত দায়ী, তাই তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত৷ এই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' নামে একটি মেকানিজম গড়ে উঠে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে৷ কারণ এতে সমর্থন দিলে ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে এই আশংকায় আছে দেশগুলো৷

Datenvisualisierung BENGALI CO2 Emissionen weltweit

বাংলাদেশের ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' এর পরিচালক সালিমুল হক রয়টার্সকে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করায় অগ্রগতি সামান্য৷

অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনালের গ্লোবাল হেড অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বলেন, ‘‘লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য এখনও কোনো তহবিল নেই – এটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ৷''

দুর্যোগের পর ব্যয় মেটাতে উন্নত দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে বিমা সহায়তা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে৷ এতে করে দুর্যোগের পরপরই প্রাথমিক খরচ মেটানো সহজ হবে বলে মনে করছে উন্নত দেশগুলো৷ জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল বলছেন, ‘‘ক্ষতির পুরোটা বিমা দিয়ে পোষানো যাবেনা৷ তবে বিমার টাকা দিয়ে পুনর্গঠন কাজ শুরুর আগে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারে দেশগুলো৷ কারণ বিমার টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়াটা দ্রুত৷ দাতাদের উপর বসে থাতে হয় না৷''

তবে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ভর্তুকি না দিলে দরিদ্র দেশের পক্ষে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা দেয়া সম্ভব হবে না৷ তাছাড়া দুর্যোগের কারণে যে অনেক সময় পারিবারিক ফটো নষ্ট ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যায়, সেসবের ক্ষতি অর্থ দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়৷ তাছাড়া যেসব দুর্যোগ অনেকদিন ধরে ঘটে, যেমন খরা, তার ক্ষতিপূরণ বিমার আওতায় পড়বে না৷

এদিকে বিমা ছাড়াও ক্ষতিপূরণের উৎস হিসেবে আরও কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি, এয়ারলাইন্স ও শিপিং কোম্পানির উপর কর নির্ধারণ; বৈশ্বিক কার্বন কর এবং আর্থিক লেনদেনের উপর কর বসানো ইত্যাদি৷

২০৩০ নয়, ২০২০ এর আগেই

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বেশিরভাগ দেশের সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷ তবে বনের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়া উত্থানশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ২০২০ সালের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন, রয়টার্স)

বন্ধু, প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷