1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতে ইসলামী-বিএনপি'র মধ্যে টানাপোড়েন: ইত্তেফাক

৮ জুলাই ২০১০

চারদলীয় জোটের মধ্যে মতবিরোধ, ভারতের দুই বাঙালি নেতার বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি – বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/ODgd
জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পরেও বিএনপি তেমন সরব হয় নিছবি: Mustafiz Mamun

চারদলীয় জোটের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দৈনিক ইত্তেফাক৷ ঐ সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ঐ দলের সঙ্গে বিএনপি'র সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে৷ তাদের গ্রেপ্তার সত্ত্বেও বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় নি৷ তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে৷ এই মনোভাবের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, নব্বইয়ের পটপরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করেছিল৷ এক পর্যায়ে বিএনপি'র কাছ থেকে জামায়াত সরে যায়৷ বিএনপি'র জামায়াত বিরোধী গ্রুপটি চেয়েছে, তাদের কাছ থেকে যেন জামায়াত সরে যায়৷ এই গ্রুপের সবাই জামায়াতকে বয়কটের ব্যাপারে দলের অভ্যন্তরে চাপ অব্যাহত রেখেছে৷ অপরদিকে চারদলীয় জোটকে ধরে রাখার জন্য বিএনপি'র মধ্যেই লবিং চলছে৷ জামায়াত ইস্যুতে বিএনপি'র দুই ধারার মতামত নেয়ার পরই চারদলীয় জোটকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেননি খালেদা জিয়া৷ জামায়াত বিরোধী গ্রুপটি দলের চেয়ারপার্সনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, যে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আন্দোলন বা যে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে এবার বিএনপি শেষ হয়ে যাবে৷

Der indische Finanzminister Pranab Mukherjee
বাংলাদেশে আসতে পারেন প্রণব মুখার্জিছবি: UNI

দৈনিক কালের কণ্ঠ জানাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মৈত্রী আরো জোরদার করতে ঢাকায় আসতে পারেন ভারতের কংগ্রেস পার্টির প্রভাবশালী নেতা ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির প্রধান ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দুই বাঙালি নেতার উপস্থিতিতে আগামী ২২ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে বিশেষ ট্রেন ‘সোনার তরী'র উদ্বোধন করা হতে পারে৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিষয়ে লেখা প্রথম আলো'র সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়েছে, যে এর পেছনে সক্রিয় ছিল চাঁদাবাজি ও জমির দখল বুঝে নেওয়ার ঘটনা৷ এ কাজ তারা বহুদিন ধরেই চালিয়ে আসছিল৷ সরকারের কেউ জানতেন না, তাও নয়৷ তাঁরা জেনেশুনেই সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি৷ ফলে দিনে দিনে সন্ত্রাসীরা পরিণত হয়েছে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবে, যে কারণে দেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠটি মাঝেমধ্যেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়৷ জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দায় এড়ানোর চেষ্টা রয়েছে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম