1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামিন পেলেন না ডাক্তার বিনায়ক সেন

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মানবাধিকারবাদী চিকিৎসক বিনায়ক সেনের জামিনের আর্জি আজ খারিজ করে দিল ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের হাইকোর্ট৷ শেষ চেষ্টা হিসেবে সেনের পরিবার সুপ্রীম কোর্টে যাবার কথা বলেন৷

https://p.dw.com/p/10F5b
ডা. বিনায়ক সেন (ফাইল ছবি)ছবি: AP

মানবাধিকারবাদী ডাক্তার বিনায়ক সেনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল ছত্তিশগড় হাইকোর্টে৷ মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর ভাদুড়ি সওয়াল করেন যে, যেসব নথিপত্র এবং তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে তা দায়রা আদালতের শাস্তি বহাল রাখার পক্ষে যথেষ্ট৷ বিনায়ক সেন একজন চিকিৎসক অথচ তাঁর বাড়ি তল্লাসির সময় কোন স্টেথোস্কোপ বা মেডিক্যাল কাগজপত্র বা অন্যান্য ডাক্তারি উপকরণ পাওয়া যায়নি, যা একজন ডাক্তারের বাড়িতে থাকার কথা৷ রাষ্ট্রদ্রোহিতার কথিত অপরাধে ডাক্তার সেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন রাজ্যের দায়রা আদালত৷ বর্তমানে ডাক্তার সেন আছেন ছত্তিশগড়ের রায়পুর জেলে৷ এই সঙ্গে মামলার অপর আসামি যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত কোলকাতার ব্যবসায়ী পিযুষ গুহের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন হাইকোর্ট৷

ডাক্তার বিনায়ক সেনের আইনজীবি রাম জেঠমালানির মতে সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তথ্যপ্রমাণ নির্ভর নয়, স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ ডাক্তার সেনের স্ত্রী ইলিনা সেন এই রায়ে হতাশা ব্যক্ত করে এর বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে যাবার কথা বলেন৷ সুড়ঙ্গের শেষে নিশ্চয় আলো দেখতে পাবো,তা না হলে মনে করবো আমাদের মত লোকেদের জন্য ন্যায়বিচারের জায়গা নেই৷ এই রায় দেশবিদেশের মানবাধিকারবাদীদের প্রতি অবিচার, বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইলিনা সেন৷

দেশবিদেশের বুদ্ধিজীবি, চিন্তাবিদ, লেখক, শিল্পী, ছাত্র এবং ৪০জন নোবেল পুরস্কার বিজেতা সরকারের কাছে মানবাধিকারবাদী বিনায়ক সেনের মুক্তির আবেদন রেখেছিলেন৷ তাঁরা মনে করেন, বিনায়ক সেন যা করেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না৷ তিনি একজন সাহসি ও নি:স্বার্থ ব্যক্তি যিনি সর্বদা বঞ্চিত ও শোষিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের আদিবাসী ও জনজাতিদের তাদের চিরাচরিত বাসভূমি থেকে উৎখাত করে সেখানে খনি ও শিল্প প্রকল্প বসানো হচ্ছে৷ এই দ্বন্দ্বে বাস্তুচ্যুত ৩০ হাজার পরিবার৷ ডাক্তার সেন এদের জন্য লড়াই চালান৷ এই রায়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে তাঁকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ২০০৭ সালে৷ দুবছর পর তিনি জামিন পান৷ গত বছর আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী