1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

৮ জুলাই ২০১৬

৫৮ বছর ধরে বড় কোনো আসরে জার্মানির বিপক্ষে জয় পাচ্ছিল না ফ্রান্স৷ অথচ এর মাঝে বিশ্বকাপও জিতেছে তারা৷ তবে এবারের ইউরোতে জয়ের খরাটা কাটিয়েছে তারা৷ জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স উঠে গেছে ফাইনালে৷

https://p.dw.com/p/1JLdr
ছবি: Getty Images/M. Hangst

বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কাগজে-কলমে জার্মানিই ছিল ফেভারিট৷ একে তো তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তার ওপর সেই ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে বড় আসরে ফরাসিদের কাছে কখনোই না হারার রেকর্ড – দুইয়ে মিলে জার্মানির জয়ের সম্ভাবনাই বেশি দেখছিলেন বিশ্লেষকরা৷ তবে স্বাগতিক হওয়ার সুবিধেটা ছিল ফ্রান্সের৷ আর ছিল ফর্ম৷ দু'টোর সমন্বয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দল হয়ে উঠেই ইউরো ২০১৬-তে জার্মানির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিল ফ্রান্স৷ বিশ্বকাপের পর একই সঙ্গে ইউরো চ্যাম্পিয়নও হওয়ার লক্ষ্য ছিল ইওয়াখিম ল্যোভের দলের৷ ২-০ গোলে হারিয়ে তাদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিলো ফ্রান্স৷

সেমিফাইনালে চমকের সম্ভাবনাটা আগের ম্যাচেই জাগিয়েছিল ফ্রান্স৷ কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ডকে একরকম নাস্তানাবুদই করেছিল ৫-২ গোলে হারিয়ে৷

অন্যদিকে জার্মানি অতি কষ্টের জয় পেয়েছিল ইটালির বিপক্ষে৷ বড় আসরে ইটালির বিপক্ষে তাদের জয়ের খরা কেটেছিল টাইব্রেকারে৷

সেই ম্যাচেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল জার্মানির কোচ ইওয়াখিম ল্যোভের কপালে৷ দলের কয়েকজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের চোট আর হলুদ কার্ড এবং টোমাস ম্যুলারের বাজে ফর্ম সেমিফাইনালে যে সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে সে আশঙ্কা নিশ্চয়ই তাঁর মনেও জেগেছিল৷ সে আশঙ্কা দূরে রাখতে দলে কিছু পরিবর্তনও এনেছিলেন৷ লিভারপুলের এমরে কানকে এ ম্যাচেই দিয়েছিলেন ইউরো অভিষেকের সুযোগ৷ সেন্ট্রাল ডিফেন্সে জেরোম বোয়াটেং-এর পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন বেনেডিক্ট হ্যোভেডেস৷

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দিতা ভালোভাবেই ধরে রেখেছিল জার্মানি৷ কিন্তু ইনজুরি টাইমে বলে হাত লাগিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনলেন বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগার৷

সেই সুবাদেই পেনাল্টি এবং পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন অঁতোয়ান গ্রিসমান৷ দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল জার্মানি৷ কিন্তু চোটের কারণে বোয়াটেং-ও মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় সবই যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গেল৷ ৭২ মিনিটে তরুণ ডিফেন্ডার কিমিচের ভুলে আবার সুযোগ পেয়ে যান গ্রিসমান৷ আবারও গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী মানুয়েল নয়ার পরাস্ত৷ ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়া জার্মানি তারপর বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল পায়নি৷

ফলে ইউরো ২০১৬ যাঁরা নিয়মিত দেখছেন তাঁদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন – কে হবে চ্যাম্পিয়ন? ফ্রান্স, নাকি পর্তুগাল? জানার জন্য রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে৷ সেদিনই ফাইনালে এ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্রিসমানের ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য