1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে রেয়ার আর্থ

২ আগস্ট ২০১৩

মোবাইল ফোন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি করতে হলে চাই ‘রেয়ার আর্থ’৷ এখনো পর্যন্ত মূলত চীনই তার যোগান দিয়ে এসেছে৷ এবার জার্মানিতেও পাওয়া গেছে এমন ধাতু৷

https://p.dw.com/p/19In7
ছবি: cc-by-sa-3.0/Tomihahndorf

একবার ভেবে দেখুন৷ গাড়ি চলাচল বন্ধ৷ বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুতই নেই৷ কারণ ‘রেয়ার আর্থ'-এর অভাব৷ যেমন নিউডিমিয়াম ও ইট্রিয়াম৷ যন্ত্রের ব্লেডের মধ্যে যে চুম্বক থাকে, তা চালাতে এগুলি চাই৷

জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে আনুমানিক প্রায় ৮০,০০০ টন ‘রেয়ার আর্থ' পাওয়া গেছে, যা ইউরোপের বৃহত্তম ভাণ্ডার৷ কেমনিৎস শহরে এক সংগ্রহে তার নমুনা জমা করা হচ্ছে৷ ড্রিলিং পাইপের মধ্যে রয়েছে সেই ধাতু৷ ‘রেয়ার আর্থ'-এর বর্তমান উঁচু বাজারদরের কারণে জার্মানিতেও এর খনন লাভজনক হয়ে উঠেছে৷ স্টর্কভিৎস কোম্পানির ব্যার্নহার্ড গিসেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ব্যাপারটা এ রকম৷ যেটুকু দেখতে পাচ্ছেন, তা প্রায় ১ টন আকরিক থেকে বেরিয়েছে৷ অর্থাৎ কোনো অপচয় না করলেও এই এক টন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোগ্রাম ‘রেয়ার আর্থ' নিঃসরণ করা সম্ভব৷''

Neodymium seltene Erde
জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে আনুমানিক প্রায় ৮০,০০০ টন ‘রেয়ার আর্থ' পাওয়া গেছেছবি: cc-by-1.0

ভবিষ্যতের জন্য এই সম্পদ এবার নিরাপদে রাখার পালা৷ ফ্রাংকফুর্ট শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এক বাংকার-কে ভল্ট হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে৷ তার দরজাই প্রায় চার টন ভারি৷ সেই ভল্ট এখনো খালি রয়েছে৷ কারণ ‘রেয়ার আর্থ' এখনো চীন থেকে আমদানি করতে হয়৷ ল্যান্থেনাম, ইউরোপিয়াম, জার্মেনিয়াম ও ১৪টি ধাতু ছাড়া আধুনিক শিল্পজগত অচল হয়ে পড়বে৷ সোনা ও রূপার মতই এই সব ধাতু নিয়ে বড় আকারের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে৷ ট্রাডিউম কোম্পানির মাটিয়াস ব়্যুট বলেন, ‘‘ব্যাপারটা বোঝা কঠিন নয়৷ যেমন একটি বোতলে যা ধরে, তার এখনকার বাজারদর প্রায় ৪০০ ডলারের মতো৷ তবে মনে রাখতে হবে, দাম এর আগে কিন্তু কখনোই এতটা পড়ে যায় নি৷ একটা সময় ঠিক একই মাপ ও একই মানের ‘রেয়ার আর্থ'-এর দাম ছিল প্রায় ২,৫০০ ডলার৷''

Seltene Erden in Storkwitz
স্টর্কভিৎস কোম্পানির ব্যার্নহার্ড গিসেলছবি: DW

এমন চাহিদার ফলে ‘রেয়ার আর্থ' ধাতু চোখের আড়ালে সাবধানে বন্ধ রাখা হয়৷ কমোডিটি ট্রেড কোম্পানির ইঙো ভল্ফ বলেন, ‘‘রেয়ার আর্থ খুব সাবধানে রাখতে হয় – এমন একটা জায়গায়, যেখানে কেউ সহজে ঢুকতে পারবে না৷ এর আরও একটা কারণ রয়েছে৷ ‘রেয়ার আর্থ' সহজেই নকল করা যায়৷ দেখতে হাল্কা নীল বা সাদা পাউডারের মতো৷ ফলে আটা বা ময়দা মেশালে কোনো অভিজ্ঞ ধাতু ব্যবয়ায়ীর পক্ষেও তা ধরা কঠিন৷ তাই সাবধানের মার নেই৷''

২০১৮ সালে জার্মানিতে ‘রেয়ার আর্থ' খননের কাজ শুরু হওয়ার কথা৷ আপাতত বিশাল ভল্ট-এর আকার বাড়ানোর কাজ চলছে৷ ততদিনে কোটি কোটি ইউরো মূল্যের সম্পদ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা শেষ করে ফেলতে হবে৷

এসবি/ডিজি