1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোয়ালিশন চুক্তির প্রতিক্রিয়া

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে অবশেষে এক স্থিতিশীল সরকার গড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠার পরেও শরিক দলগুলির মধ্যে অসন্তোষ দূর হচ্ছে না৷ সামাজিক গণতন্ত্রী, তথা এসিপিডি নেতা শুলৎস সভাপতির পদ ছেড়ে দলের মধ্যে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন৷

https://p.dw.com/p/2sJI6
ম্যার্কেল, সেহোফার ও শুলৎস কি দলের মধ্যে সমর্থন ধরে রাখতে পারবেন?
ছবি: Getty Images/C. Koall

অঙ্কের বিচারে জার্মানির আগামী মহাজোট সরকারের কাঠামো প্রস্তুত৷ কোয়ালিশন চুক্তি, মন্ত্রিসভার গঠন, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়ে গেছে৷ এসপিডি দলের সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করলে ইস্টারের সপ্তাহান্তের আগেই সরকার গঠিত হবে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তিন শরিক দলের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে৷

প্রস্তাবিত সরকারে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল বিগত সরকারের তুলনায় কম মন্ত্রী পাঠাতে পারবে৷ বিশেষ করে অর্থ মন্ত্রণালয় হারানোর দুঃখ কম নয়৷ দলের অর্থনৈতিক পরিষদ সেইসঙ্গে সমাজ ও পরিবার মন্ত্রণালয় খোয়ানোর কারণেও এই বোঝাপড়ার সমালোচনা করেছে৷ সরকার গঠিত হলে তাই এই সব মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের উপর কড়া নজর রাখতে হবে বলে মনে করে এই পরিষদ৷ ম্যার্কেল এসপিডি দলকে এত ছাড় দেওয়ায় সিডিইউ দলের মধ্যে চাপা ক্ষোভের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে৷ বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষ নেতা কোয়ালিশন চুক্তির প্রশংসা করলেও অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

গত নির্বাচনে মাত্র ২০ শতাংশের মতো ভোট পেয়েও এসপিডি দল কোয়ালিশন চুক্তিতে নিজস্ব বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করে ও এত সংখ্যক মন্ত্রীর পদ আদায় করতে পেরেছে৷ ১৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৬ জনই এসপিডি মন্ত্রী হতে পারেন৷ পররাষ্ট্র ও অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পাচ্ছে এসপিডি৷ দলের নেতৃত্ব এই সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখালেও দলের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না৷ বিশেষ করে দলের যুব শাখা এখনো নীতিগতভাবে মহাজোট সরকারে যোগ দেবার বিরোধী৷ তাদের মতে, নতুন সরকারে দলের যতই প্রভাব-প্রতিপত্তি থাক না কেন, শেষ পর্যন্ত ভোটাররা সেই সাফল্যকে স্বীকৃতি দেয় না, যেমনটা বিগত মহাজোট সরকারগুলির ক্ষেত্রেও বার বার দেখা গেছে৷

দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে কোয়ালিশন চুক্তির খবর পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব জার্মানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷

আগামী কয়েক সপ্তাহে ধাপে ধাপে সরকার গড়ার পথে অগ্রগতি হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এসপিডি দলের প্রায় ৪৬৩,০০০ সদস্য ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত ভোট দেবার সুযোগ পাবেন৷ দলের নেতা মার্টিন শুলৎস ও অন্যান্যরা তাঁদের মন জয় করতে প্রচার শুরু করছেন৷ দলের মধ্যে বিরোধীদের আশ্বাস দিতে শুলৎস দলের সভাপতির পদ ছেড়ে শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ অন্যদিকে দলের যুব শাখা সরকারে যোগ দেবার বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে৷
এসবি/ডিজি 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য