1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেলের সন্ধান

ক্রিস্টিনা ব়্যোডার/এসবি১১ জানুয়ারি ২০১৪

ঘরের কাছের মাঠেই যদি পেট্রোলিয়াম পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়? জার্মানির একটি এলাকায় তেমনটাই ঘটছে৷ তবে প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা এলাকা খোঁড়া হচ্ছে না, মাটির নীচে শব্দের প্রতিফলন ঘটিয়ে তেলের ভাণ্ডার সম্পর্কে আগাম জানা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1Aob5
ছবি: picture alliance/Tong jiang/Imaginechina

জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের মেয়ারকিশে হাইডে-তে মাঠের উপরেই বিশেষ ট্রাকে লাগানো ভারি প্লেট এলাকার মাটি কাঁপিয়ে দিচ্ছে৷ সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত পৌঁছায় তার স্পন্দনের তরঙ্গ৷ সেই তরঙ্গ আবার মাটির নীচ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে৷ মাটির উপর বসানো বিশেষ মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সেই প্রতিফলিত তরঙ্গ শুনতে পাওয়া পায়৷ জানা গেছে, ২০০-র মতো জিওফোন লাগানোর কাজ হয়ে গেছে, তবে প্রকল্পের জন্য প্রায় ১০,০০০ মাইক্রোফোন দরকার৷

এত বড় আকারে সিজমোলজিক্যাল পরীক্ষা চালাতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়৷ প্রায় ৩ মাস কাজ চলছে৷ থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক ভূতাত্বিক মানচিত্র তৈরি করাই এর লক্ষ্য৷ শুধু এই কাজেরই ব্যয় প্রায় ৯০ লাখ ইউরো৷ সিইপি কোম্পানির টোমাস শ্র্যোটার বলেন, ‘‘মেপে দেখলেই বুঝবেন আমরা এ বিষয়ে কতটা আন্তরিক৷ কারণ এখানে যে তেল আছে, সেটা আগেই জানা গেছে৷ আমরা তা খুঁজে পেয়েছি৷ নতুন এই প্রযুক্তি দিয়ে আমরা মাটির নীচের অবস্থা এমনভাবে দেখছি, যেমনটা আগে কখনো সম্ভব ছিল না৷''

এই অনুসন্ধানের জন্য সব মিলিয়ে ৫ বছরে প্রায় ৭ কোটি ৪০ লক্ষ ইউরো ব্যয় হবে৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে৷ চারিদিকে লম্বা তার পাতা ও মাটিতে মাইক্রোফোন বসানো রয়েছে৷ চোখ এড়িয়ে যাবার উপায় নেই৷ একজন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম মাটি খুঁড়ে হয়তো সাইকেলের পথ তৈরি হচ্ছে৷ আরেক জন বলেন, এখানে তেল খুঁজে পেলে তা আমাদের জন্য ভালই হবে৷ লোকজন কাজ পাবে৷

মেয়ারকিশে হাইডে-র মেয়র ডিটার ফ্রাইহফ-এরও আপত্তি নেই৷ তবে তেলের কারণে এলাকা ধনী হয়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন না৷ তিনি বললেন, ‘‘এই অঞ্চলে টাকার পাহাড় আসবে না৷ এমনিতেই এই এলাকায় শিল্প-বাণিজ্য কম৷ ২০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হলেও আমাদের উপকার হবে৷ যদি তারা ৪০-৫০ বছর ধরে কাজ করতে পারে, তাহলেই চলবে৷''

সবাই যাতে এই প্রকল্পের উপকারিতা বুঝতে পারে, সেই লক্ষ্যে কোম্পানি সচেষ্ট রয়েছে৷ গত বছর প্রথম পরীক্ষামূলক খননের সময়েই তারা সেটা করেছিল৷ গোটা এলাকায় খনন করা হবে, এমন আশঙ্কা তখন উড়িয়ে দেওয়া হয়৷ টোমাস শ্র্যোটার বললেন, ‘‘অতীতে এমনটা করতে হতো বটে, আজ আর এ সবের দরকার পড়ে না৷ একটি জায়গায় খনন করে পাইপ ঢোকালে সেটি মাটির নীচেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে৷ ফলে কয়েক মিটার পর পর খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয় না৷''

এখনই অনেক কার্যকলাপ চোখে পড়লেও জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে পেট্রোলিয়াম উৎপাদন করতে কমপক্ষে আরও ৪ বছর সময় লাগবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য