1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধী আইন?

ক্রিস্টফ রিকিং/এসি৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আইনমন্ত্রী হাইকো মাস সাততাড়াতাড়ি যে আইনের খসড়া পেশ করেছেন, তাকে ‘সাইড এফেক্ট যুক্ত সেডেটিভ’ বটিকা বলে গণ্য করেন ক্রিস্টফ রিকিং৷ এমনকি এই ‘প্রতীকী পদক্ষেপ’ বিপজ্জনক হতে পারে, বলে তাঁর ধারণা৷

https://p.dw.com/p/1EVwL
Symbolbild Versuch der Ausreise in Kampfgebiete künftig strafbar
ছবি: picture-alliance/dpa/Andrea Warnecke

ভয়ের বশে কিছু করা উচিত নয়৷ অথচ জার্মান সরকার যে নতুন সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধী আইন প্রণয়ন করতে চলেছেন, তার জন্মই ভয় থেকে – সন্ত্রাসের ভয়৷ আইনের খসড়া অনুযায়ী ভবিষ্যতে জার্মানি থেকে ইসলামপন্থি জিহাদিরা সিরিয়া কিংবা ইরাকে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ এছাড়া সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়াটাকেও অপরাধ পদবাচ্য করা হচ্ছে৷

এই নতুন আইন কিন্তু প্রতীকী রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়৷ এই আইন শুধু আপামর জনসাধারণকে বোঝানোর প্রচেষ্টা যে, সরকার ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে কিছু একটা করছেন৷ বলা যেতে পারে, এটা এক ধরনের সেডেটিভ, যদিও তার সম্ভাব্য ‘সাইড এফেক্ট' কম নয় – কেননা এই আইনের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, কোনো বাস্তব অপরাধ নয়, অপরাধের পরিকল্পনাটাকেই অপরাধ বলে গণ্য করা হবে৷

Volontäre DW Akademie Christoph Ricking
ক্রিস্টফ রিকিংছবি: DW

অথচ যারা বাস্তবিক বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা সোজা হবে না – কেন না একজন ইসলামপন্থির বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ করতে হবে যে, তার কোনো জিহাদি সন্ত্রাস শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিপ্রায় ছিল৷ কোনো তরুণ মুসলিম যদি জার্মানি থেকে তুরস্ক যাত্রা করে, তবে সেটাই কি তার সন্ত্রাসী অভিপ্রায়ের প্রমাণ হবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদি হবার অভিপ্রায় ঘোষণা করাটাই কি অব্যর্থ সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে?

সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়া সংক্রান্ত সূত্রটিও স্রেফ লোক-দেখানো, কেননা বৈদেশিক বাণিজ্য আইন এবং দায়রা আইনে ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা রয়েছে৷ এক্ষেত্রে ফেডারাল সরকারের যুক্তি হলো, জাতিসংঘ গত সেপ্টেম্বরে ‘বিদেশি যোদ্ধা' সংক্রান্ত যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাবেরই বাস্তবায়ন করছেন জার্মান সরকার৷ কিন্তু জাতিসংঘের ‘ফরেন ফাইটার্স' প্রস্তাবটি ছিল প্রধানত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির জন্য৷

ফেডারাল জার্মান অপরাধ দপ্তরের কর্মকর্তারাও নতুন আইনের খসড়ায় বিশেষ সন্তুষ্ট নন৷ তাদের বক্তব্য হলো, সর্বাগ্রে আরো বেশি পুলিশকর্মী নিয়োগ এবং তদন্তকারীদের উন্নততর সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা উচিত৷ কিন্তু সেটা ব্যয়সাপেক্ষ, অন্তত নতুন আইন প্রণয়নের চেয়ে বেশি ব্যয়সাপেক্ষ তো বটেই৷ কাজেই...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান