1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের সাজে চোর!

৩ নভেম্বর ২০১৩

জার্মানিতে সবে গ্রীষ্মের শেষে হেমন্ত কাল শুরু হয়েছে৷ দিনের আলো কমছে, দ্রুত অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে৷ সেইসঙ্গে বাড়ছে চোরের উপদ্রব৷ নানা ফন্দি এঁটে তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/1AAc3
ফাইল ফটোছবি: dapd

প্রথমে টেলিফোন কল৷ অপর প্রান্তে জার্মান ফেডারেল অপরাধ দমন দপ্তরের অফিসার৷ গম্ভীর কণ্ঠে বলছেন, দিনকাল খুব খারাপ৷ তাঁরা ডাকাতির ষড়যন্ত্রের সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছেন৷ নিরাপত্তার খাতিরে তাই বাড়িতে গয়নাগাটি রাখা চলবে না৷ অতএব সে সব পুলিশের কাছেই গচ্ছিত রাখতে হবে৷ অথবা অন্য কোথাও নিরাপদে রাখতে হবে৷ গৃহস্থের মাথায় হাত৷ এ তো ভারী বিপদ! গয়নাগাটি চুরি হয়ে গেলে তো সর্বনাশ৷ পুলিশ যখন বলছে, তখন তো বিশ্বাস করতেই হয়৷ বেল বাজার পর দরজা খুলে দেখা গেল ইউনিফর্ম পরা পুলিশকর্মীকে৷ অতএব নিশ্চিন্ত হয়ে তার হাতে দামি গয়নাগাটি তুলে দিলেই দুশ্চিন্তা দূর হবে৷ কিন্তু একটাই সমস্যা৷ টেলিফোনের অফিসার বা পুলিশ কর্মী – কাউকেই আর পরে খুঁজে পাওয়া যায় না৷ লোপাট গয়নাগাটিও৷ জার্মানিতেও এমনটা ঘটে এবং ঘটছে৷

কোলোন শহরের পুলিশ সম্প্রতি এমন দুটি ঘটনার আলোকে নড়েচড়ে বসেছে৷ এমন জোচ্চুরির শিকার হয়েছেন ৮১ বছরের এক বৃদ্ধা৷ পুলিশের ছদ্মবেশে এক চোর নিজে এসে তাঁর গয়নাগাটি নিয়ে গেছে৷ এক ৬১ বছরের নারীর ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও অদ্ভূত৷ টেলিফোনে তাঁকে বলা হয়েছিল, গয়নাগাটি প্যাকেটে মুড়ে দরজার সামনে রাখতে৷ কারণ ডাকাতরা এলো বলে! দুজনেই সরল বিশ্বাসে কথামতো কাজ করেছেন৷

মানুষকে বোকা বানানো এতই সহজ! এই দুটি ক্ষেত্রে অবশ্য চোরেদের কৃতিত্বও মানতেই হবে৷ আসলে জার্মানিতে পুলিশের টেলিফোন নম্বর ১১০৷ মানুষজন পুলিশকে এই নম্বরেই ফোন করেন৷ জোচ্চোররা ফোন করলে গৃহস্থের টেলিফোনে ফুটে উঠছে ১১০৷ অবশ্যই এর পেছনে রয়েছে চালাকি৷ কিন্তু এমন নম্বর দেখে চট করে বিশ্বাস জন্মাতেই পারে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে তাই এক নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে৷ তবে চোরেরাও কি সহজে দমে যাবে! অন্য উপায়ে তারা তাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে৷ অতএব সতর্ক থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য