1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ‘মগের মুল্লুক’!

১৬ এপ্রিল ২০১৮

৫১ শতাংশ জার্মান মনে করেন, জার্মানিতে ‘নো-গো’ বা অপরাধপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে৷ এর বিপরীতটা মনে করেন ৪১ শতাংশ নাগরিক৷ পুলিশ অপরাধচক্রকে অচিরেই কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম হবে বলে এ বিষয়েও ৭৭ শতাংশ জার্মান আশাবাদী৷

https://p.dw.com/p/2w7Ga
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini

বেশিরভাগ জার্মানই মনে করেন, তাঁদের দেশে এমন কিছু আইন-শৃঙ্খলাহীন অরাজক অঞ্চল রয়েছে যেখানে আইন ও পুলিশ পৌঁছাতে পারে না৷

রোববার জার্মানির সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘বিল্ড’ পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এমন চিত্রই উঠে এসেছে৷

যদিও দেশটিতে ‘মগের মুল্লুক’ থাকার ব্যাপারে নাগরিক জরিপে উঠে আসা এই আশঙ্কার বিপরীতে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন৷

বিল্ড পত্রিকার ঐ জরিপে অংশ নেওয়া ৫১ শতাংশ জার্মান মনে করেন, জার্মানিতে ‘নো-গো’ বা অপরাধপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে৷ এর বিপরীত মনে করেন ৪১ শতাংশ নাগরিক৷ তবে জরিপের ফল বলছে, পুলিশ অপরাধচক্রকে অচিরেই কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম হবে বলেই ৭৭ শতাংশ জার্মান আশাবাদী৷

অভিবাসী এবং শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় অপরাধপ্রবণতা বেশি বলে জার্মানদের এক ধরনের ধারণা রয়েছে৷ বিল্ড এর মতো কিছু পত্রিকা এ ধারণা উস্কেও দিচ্ছে৷ 

অথচ জার্মান ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ (বিকেএ)-এর দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা৷ তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় জার্মানদের তুলনায় বিদেশিদের আইন ভাঙার প্রবণতা অনেকটাই কম৷

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৬ সালে শারিরীকভাবে নির্যাতন বা আহত করার দেড় লাখ ঘটনার মামলা বা অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে৷ এসব ঘটনায় অপরাধীদের মাত্র ৩৮ শতাংশ জার্মান বংশোদ্ভুত নন৷

বিকেএ’র সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, অভিবাসী বা শরণার্থীরা টিকেট না কেটে গণপরিবহনে ওঠা এবং ছিঁচকে চুরির মতো মামুলি অপরাধই করেন বেশি৷

‘মগের মুল্লুকে’র সত্যতা

অপরাধপ্রবণ এলাকা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সহজে কাটছে না৷ বিশেষত কিছু সংসদ সদস্যও এ ধরনের এলাকার অস্তিত্ব রয়েছে বলে প্রচার করছেন৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েনস স্পানও এই প্রচারণাকে উস্কে দিয়ে বলেছেন, ‘‘এসেন, ডুইসবুর্গ এবং বার্লিনের কোনও কোনও এলাকায় গেলে আপনার মনে হতে পারে রাষ্ট্র বা আইন বলতে কিছু নেই সেখানে৷’’  

ডুইসবুর্গের মার্কসলো এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ এ উপশহরটি মিডিয়ার অপপ্রচারের শিকার৷

বেকারত্ব আর অভিবাসী অধ্যুষিত উপশহর মার্কসলোর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক এর পাশের শান্ত নিরুপদ্রব শহর হিসেবে পরিচিত আখেনের চেয়ে ভালো৷

এলিজাবেথ শুমাখার/এইচআই (ডিপিএ অবলম্বনে)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান