1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি

ভোল্ফগাং ডিক/এসি২১ নভেম্বর ২০১৩

মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে নতুন খবর জার্মান গণমাধ্যমে: জার্মান কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন জার্মান শিল্পসংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে সাহায্য করেছে, এমনকি সে অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী হলেও৷

https://p.dw.com/p/1ALSx
Demonstranten unterstützen am 04.07.2013 vor dem Reichstag in Berlin mit Plakaten den Ex-US-Geheimdienstler Edward Snowden. Snowden hatte die Datenspionage der USA und Großbritanniens enthüllt. Foto: Ole Spata/dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

খবরটা ফাঁস করেছে জার্মানির স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকা এবং নর্ডডয়চে রুন্ডফুংক নামধারী সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল: বিশেষ করে জার্মানিতে মার্কিন সেনা ছাউনিগুলি থেকে নাকি সিআইএ, এনএসএ, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস ও হোমল্যান্ড সিকিওরিটি-র এজেন্টরা যথেচ্ছ কাজ চালিয়ে থাকে৷

আজও জার্মানিতে ৪৩ হাজার মার্কিন সৈন্য নিয়োজিত, যারা বিভিন্ন ‘বেস' বা ঘাঁটিতে অবস্থান করছে৷ সেভাবেই রামস্টাইন ও স্টুটগার্টের মার্কিন ঘাঁটিগুলি থেকে নাকি সোমালিয়ায় ড্রোন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বলে জানিয়েছে স্যুডডয়চে সাইটুং৷ ‘‘স্টুটগার্টের মার্কিন ঘাঁটিতে যোগাযোগের জন্য জার্মান অফিসাররা নিযুক্ত ছিলেন৷ জার্মানির রাজ্যাঞ্চল থেকে সংঘটিত (সোমালিয়ায় ড্রোন আক্রমণের) অভিযানটি জার্মান সরকারের সঙ্গে একত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে'' – বলেছেন এনডিআর টেলিভিশন সংস্থার সম্পাদক জন গোয়েটৎস, যিনি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷

Screenshot eines Videos, das am 04.11.2013 von Wikileaks veröfentlicht wurde, zeigt Whistleblower Edward Snowden (M) am 31.10.02013 bei einem geheimen Treffen an einem unbekannten Ort in Moskau im Gespräch mit dem Grünen-Politiker Hans-Christian Ströbele (r) sowie den Journalisten John Goetz (l, Süddeutsche Zeitung), Sarah Harrison (Wikileaks) und dem Ex-«Spiegel»-Chefredakteur Georg Mascolo (2.v.r.). Eine Befragung des Informanten zur NSA-Spähaffäre in Moskau ist nach Auffassung des Innenministeriums möglich. Asyl für den Ex-Geheimdienstler Snowden in Deutschland lehnt die Bundesregierung dagegen nach wie vor ab. Foto: Wikileaks (Nur zur redaktionellen Verwendung bei Urhebernennung: Wikileaks)

এনডিআর আর স্যুডডয়চে সাইটুং মিলে প্রায় বিশজন সাংবাদিক দু'বছর ধরে খোঁজখবর করেছেন, মার্কিন গুপ্তচর সেবা এবং মার্কিন সেনাবাহিনী জার্মানিতে কি ধরনের সক্রিয় সাহায্য পেয়েছে অথবা পেয়ে থাকতে পারে৷ সাংবাদিক দলের এই গবেষণার ফলাফল পর্যায়ক্রমে পত্রিকাটিতে প্রকাশ করা হয়েছে, যার শীর্ষক রাখা হয়েছে: ‘‘গোপন যুদ্ধ''৷ মার্কিন গুপ্তচর বিভাগের কর্মীরা নাকি জার্মান বন্দরগুলিতে কনটেইনার চেক করতে পারে – এমনকি কোন কনটেইনার লোড করা হবে কিংবা হবে না, তা নির্ধারণ করতে পারে৷

জার্মান সরকার নাকি বিভিন্ন মার্কিন শিল্প – তথা বাণিজ্য সংস্থাকে দু'শোর বেশি বিশেষ পারমিট দিয়েছেন, যার বলে তারা মার্কিন সরকারের নির্দেশে জার্মানিতে নানা স্পর্শকাতর প্রকল্প চালাতে পারে, যেমন স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিশ্বব্যাপী গতিবিধি অনুসরণ করার সফটওয়্যার তৈরি৷ এই সদ্য ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে জার্মান ফেডারাল পুলিশ এস্টোনিয়া থেকে আগত এক ব্যক্তিকে প্লেনে চড়া থেকে বিরত করতে সাহায্য করেছে – মার্কিন এজেন্টদের অনুরোধে৷

সব মিলিয়ে এ টুকুই বলা যায়: জার্মান সরকার যে এনএসএ-র তরফ থেকে জার্মানিতে আড়ি পাতার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না, এটা আর ঠিক বিশ্বাসযোগ্য থাকছে না৷ বিশেষ করে জার্মান সরকার যখন সুদূর পঞ্চাশের দশক যাবৎ মার্কিন সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন গোপন চুক্তি করে আসছেন, যে সব চুক্তির সম্পাদনে জার্মান সংসদও ঠিকমতো সংশ্লিষ্ট নয়৷

মজার কথা, স্যুডডয়চে সাইটুং এবং এনডিআর-এর সাংবাদিকরা তাদের অনুসন্ধান শুরু করেন ‘‘গুগল ম্যাপস'' নামধারী ডিজিটাল পরিষেবায় কিছু ফাঁকের ফলে৷ সাংবাদিকরা দেখেন, জার্মানির গুগল-ম্যাপে এমন অনেক জায়গা ফাঁকা দেখানো হয়েছে, অথবা বনজঙ্গল আছে বলে দেখানো হয়েছে, যেখানে বাস্তবে মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগ কিংবা সামরিক বাহিনীর নানা ঘাঁটি আছে৷ সেখান থেকেই সাংবাদিকদের তদন্তের শুরু – এডোয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য থেকে নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য