1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সেবাকর্মীর ঘাটতি

হাইনার কিসেল/আরবি১৯ অক্টোবর ২০১৩

জার্মানিতে অদূর ভবিষ্যতে সেবা ক্ষেত্রে বেশ কয়েক হাজার কর্মীর ঘাটতি দেখা দেবে৷ জার্মান সরকার এই ঘাটতি পূরণের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে৷ চেষ্টা করছে বিদেশ থেকে কর্মী আনার৷

https://p.dw.com/p/1A2VW
ছবি: picture-alliance/dpa

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চলতি দশকের শেষ নাগাদ সেবা ক্ষেত্রে ২২০,০০০ কর্মীর অভাব দেখা দেবে৷ কেননা এখানে প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত৷ তাই অন্যান্য দেশ থেকে সেবাকর্মী আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার৷

দৃষ্টিতে দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলি

দৃষ্টিতে রয়েছে দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশ স্পেন গ্রিস, ইটালি ও পর্তুগাল৷ অন্যদিকে এইসব দেশে অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যয়সংকোচনের কারণে বেকার সমস্যাও প্রকট৷ তাই সেসব দেশ থেকে শ্রমশক্তি আনা সহজ হবে বলে আশা করছে জার্মান সরকার৷ এ ছাড়াও সার্বিয়া ও বসনিয়া হ্যারৎসেগোভিনা এবং টিউনিশিয়া ও ফিলিপাইন্স-এও খোঁজা হচ্ছে সেবক সেবিকা৷ একটি প্রকল্পের আওতায় ১৫০ জন চীনা সেবক সেবিকাকে জার্মানিতে আনা হচ্ছে৷

Zum Thema - Pflegenotstand und zur Anwerbung von Pflegekräften aus Entwicklungsländern
বাম দলের ২৯ বছর বয়সি সাংসদ নিমা মোসাভাটছবি: Imago/Metodi Popow

সরকারের এই প্রচেষ্টাকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন, বাম দলের সাংসদ নিমা মোসাভাট৷ তাঁর মতে, কয়েকটি দেশে এর নেতিবাচক ফলাফল পড়তে পারে৷ এই দেশগুলির নিজেদেরই সেবা-কর্মীর অভাব রয়েছে৷ তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘‘জার্মান সরকারের সাহায্যের অর্থ দিয়ে অনেক উন্নয়নশীল দেশে স্বাস্থ্যকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে৷ অন্যদিকে প্রশিক্ষিত কর্মীদের নিজ দেশে কাজে লাগার সুযোগ না দিয়ে জার্মানিতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এটা তো অর্থহীন৷ যেমন ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সেবক ও সেবিকা আনা হয়েছে৷''

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি

জার্মান সরকার আত্মপক্ষ সমর্থন করে উত্তরে জানিয়েছে যে, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি৷ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব রয়েছে, সেই সব দেশ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে এই সব ক্ষেত্র থেকে লোক আনা যাবে না৷ অন্য কথায় জনসাধারণের অন্তত ৮০ শতাংশের স্বাস্থ্য রক্ষা নিশ্চিত হতে হবে৷ এই পরিস্থিতি ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের বেলায় প্রযোজ্য৷ ডাব্লিউএইচও অবশ্য সক্রিয়ভাবে কর্মী আনার ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে৷ সরকার বলছে এশিয়ার দেশগুলিতে বিশেষজ্ঞ কর্মীদের সক্রিয়ভাবে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে না৷

Zum Thema - Pflegenotstand und zur Anwerbung von Pflegekräften aus Entwicklungsländern
জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডানিয়েল বারছবি: picture-alliance/dpa/Wolfgang Kumm

আর কোনো বিকল্প নেই

এই প্রসঙ্গে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডানিয়েল বার বলেন, ‘‘আমরা সেই সব দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছি, যে সব দেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোনো জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে না৷''

এই মন্ত্রীর মতে বিদেশ থেকে সেবা কর্মী আনা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এই সব শ্রমশক্তির ব্যাপারে আমরা এক তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে রয়েছি৷ আমরা তাদের আনার চেষ্টা না করলে এই সব কর্মী সুইজারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলিতে চলে যাবেন৷ জার্মান সরকার এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ শ্রমশক্তিকে সচল করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত হবে না৷''

অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাম্বুলেটরি সার্ভিস-এর হুবার্ট রোসার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘‘বিদেশি সেবাকর্মী ছাড়া আর চলবেই না৷'' তাঁর প্রতিষ্ঠান ১০০০টি নার্সিং হোম ও নার্সিং সার্ভিসের দায়িত্বে রয়েছে৷ তবে জার্মানিতে সেবার পেশাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে কাঠামোগত সমস্যাগুলি আয়ত্তেআনতে হবে৷ রোসার সেবাকর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ সুবিধা ও বেতন বৃদ্ধির দাবি করেন৷ এছাড়া দূর প্রাচ্য থেকে আনা সেবাকর্মীরা সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বাস্তব ক্ষেত্রে কতোটা সুরাহা বয়ে আনবে সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘৮০ বছর বয়সি জরাজীর্ণ কোনো বৃদ্ধের সঙ্গে ভারত, চীন কিংবা ভিয়েতনামের কোনো সেবাকর্মীর পরিচয় করিয়ে দিলে, ব্যাপারটা কেমন হবে?''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য