1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি পাচ্ছে বাড়তি সৈন্য

১০ মে ২০১৬

আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেড়ে চলা সক্রিয় ভূমিকা সত্ত্বেও জার্মান সেনাবাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ও সাজসরঞ্জাম নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই৷ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবার একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতির উদ্যোগ নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1Il0C
পোল্যান্ডে ন্যাটো মহড়ায় জার্মান সৈন্যরা
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Waszcuk

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভক্ত জার্মানির দুই অংশের সেনাবাহিনী মিত্রশক্তির কড়া নজরদারির মধ্যে সক্রিয় ছিল৷ নাৎসি বাহিনীর উত্তরসূরী হিসেবে তাদের ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত সীমাবদ্ধ৷ ১৯৮৯ সালে দুই জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর ধীরে ধীরে জার্মান সেনাবাহিনী ‘স্বাভাবিক' চরিত্র ফিরে পেতে থাকে৷ সংসদের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে বিদেশের মাটিতেও তাদের দেখা যায়, যা তার কয়েক বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল৷ আজ বিশ্বের অনেক প্রান্তে ন্যাটো ও জাতিসংঘের একাধিক অভিযানে জার্মান সেনাবাহিনী সক্রিয় রয়েছে৷ সেখানে তাদের গঠনমূলক কাজ প্রশংসাও কুড়িয়ে থাকে৷ কিন্তু অন্যদিকে দায়িত্ব বেড়ে চলা সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর বাজেট ও সাজ-সরঞ্জামের চাহিদা নিয়ে সমস্যা বহুচর্চিত বিষয় থেকে গেছে৷

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবার এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চান৷ বর্তমান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি৷ এর আওতায় সৈন্যসংখ্যার ক্ষেত্রে ঊর্দ্ধসীমা তুলে দেবার পক্ষপাতী প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷

প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের বিষয়ে জার্মানির জনগণ অত্যন্ত সন্দিহান৷ কিন্তু ইউক্রেন সংকট, আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে৷ ফলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় কাটছাঁটের পর আবার প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়তে চলেছে৷ ন্যাটো-র জোটসঙ্গীরাও বহুকাল ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছে৷ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে জার্মান সৈন্যদের উপরও চাপ কিছুটা কমবে৷

একবিংশ শতাব্দীতে জার্মানির শান্তিপূর্ণ ভূমিকা বাকি বিশ্বের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠলেও ‘নাৎসি জার্মানি'র সর্বগ্রাসী নীতির ইতিহাস অনেকে আজও ভুলতে পারে না৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য