1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির আগামী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ক্রিস্টিয়ান উল্ফ

৪ জুন ২০১০

গত কয়েক দিনের জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে শাসক জোট প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে ক্রিস্টিয়ান উল্ফ'কে৷ বর্তমানে তিনি লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/NhSx
ম্যার্কেলের ‘ফেভারিট’ লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান উল্ফছবি: AP

গত সোমবার হর্স্ট ক্যোলার আচমকা পদত্যাগ করার ফলে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, কে তা পূরণ করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল৷ বাংলাদেশ বা ভারতের মতো জার্মানিতেও প্রেসিডেন্ট পদ মূলত আলঙ্কারিক হলেও জার্মান সমাজে প্রেসিডেন্ট'এর এক বিশেষ মর্যাদা রয়েছে৷ দলীয় রাজনীতির সঙ্কীর্ণতার ঊর্দ্ধে উঠে তিনি সঙ্কটের সময়ে জাতির পাশে দাঁড়াবেন, তাদের আশ্বস্ত করতে সঠিক শব্দ খুঁজে পাবেন – এমনটাই আশা করা হয়৷ জনসাধারণের কাছে প্রায় অপরিচিত ব্যক্তি হিসেবে হর্স্ট ক্যোলার এই পদ গ্রহণ করলেও ৬ বছরের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছতে পেরেছিলেন৷ তাঁর বিদায়ের পর এমনই একজন ব্যক্তির সন্ধান করছিল শাসক জোট৷

বাংলাদেশ বা ভারতের মতো জার্মানিতেও জনগণ সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে না৷ ‘ফেডারেল কনভেনশন' নামের এক সমাবেশের প্রতিনিধিরা মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে একজনকে নির্বাচিত করেন৷ এই মুহূর্তে এই সমাবেশে রক্ষণশীল ও উদারপন্থী জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদেরই প্রার্থী যে আগামী প্রেসিডেন্ট হবেন, তা শুরু থেকেই প্রায় নিশ্চিত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে৷

Joachim Gauck
উল্ফ’এর প্রতিদ্বন্দ্বী ইওয়াখিম গাউকছবি: picture alliance / dpa

ফেডারেল জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট পদেও প্রথম বারের মত এক নারীকে দেখা যেতে পারে, এমন একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল৷ হর্স্ট ক্যোলার পদত্যাগ করার পর তাই সবার আগে শোনা যাচ্ছিলো বর্তমান শ্রমমন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন'এর নাম৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে'র নামও আলোচনায় উঠে এসেছিলো৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাসক জোট প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরলো ৫০ বছর বয়স্ক ক্রিস্টিয়ান উল্ফ'এর নাম৷ জিতলে তিনিই হবেন জার্মানির সবচেয়ে তরুণ প্রেসিডেন্ট৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উল্ফ সেই মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন৷ উল্ফ বলেন, এটা একটা বিশাল দায়িত্ব৷ কঠিন এই সময় মানুষের মনে আশার আলো আনতে তিনি যথাসাধ্য করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷

আগামী ৩০শে জুন ‘ফেডারেল কনভেনশন' ক্রিস্টিয়ান উল্ফ'কে নির্বাচিত করবে – এমনটা ধরে নেওয়া হলেও একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে পারবেন না৷ বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজ দল যৌথভাবে প্রার্থী হিসেবে ইওয়াখিম গাউক'এর নাম মনোনয়ন করেছে৷ ৭০ বছর বয়স্ক গাউক সাবেক পূর্ব জার্মানির নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্টাসি'র গোপন নথিপত্র জনসমক্ষে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে যে দপ্তর গড়ে তোলা হয়েছে, তার প্রধান হিসেবে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন৷ রক্ষণশীল ও উদারপন্থী জোটের মধ্যেও গাউক অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি৷ ফলে ৩০শে জুন তিনি শাসক জোটের কিছু প্রতিনিধির ভোট পেয়ে যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই