1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির কার্বন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন

২৪ মে ২০১১

সুইডেনের বহুজাতিক জ্বালানি সংস্থা ভাটেনফাল বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যে তারা এমন কয়লা প্রকল্প তৈরি করতে পারবে যেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডকে তরল করে মাটির নীচে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷

https://p.dw.com/p/11LSE
** ARCHIV ** Das Kraftwerk Lippendorf, suedlich von Leipzig, fotografiert aus der Vogelperspektive im Morgendunst am 28. Okt. 2005. Die deutschen Unternehmen haben den Kohlendioxid-Ausstoss 2005 reduziert. Wie das Bundesumweltministerium und das Umweltbundesamt am Montag, 15. Mai 2006, mitteilten, stiessen die beteiligten Firmen im ersten Jahr des Emissionshandels neun Millionen Tonnen oder zwei Prozent weniger CO2 aus als im Zeitraum von 2000 bis 2002. (AP Photo/Eckehard Schulz)
ফাইল ফটোছবি: AP

একথা আর এখন কারো অজানা নয় যে, নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে মিশে গিয়ে বিশ্বের জলবায়ুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনছে৷ কিন্তু জার্মানিতে সাধারণ মানুষের আপত্তির কারণে ভাটেনফালের পরিকল্পিত সুরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের প্রতিবেশী ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত অধিবাসীরা ইতোমধ্যেই তাদের বাড়ির বাগানের বেড়ায় লিখে রেখেছেন ‘‘আমরা গিনিপিগ নই''৷ মাটির নীচে অর্থাৎ তাদের বাড়ির নীচে তরলিত কার্বন ডাই অক্সাইড মজুদ করে রাখার পরিকল্পনার বিরুদ্ধেই তারা বিক্ষুব্ধ৷ ঐ প্রক্রিয়াটি কার্বন ক্যাপচার এবং স্টোরেজ অথবা সিসিএস নামেই পরিচিত৷ এই প্রক্রিয়ার আওতায় গ্রিন হাউস গ্যাস তরল করে মাটির নীচে রেখে দেওয়া যায়৷

বার্লিনের সংসদে ব্রান্ডেনবুর্গের পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন হান্স-গেওর্গ ফন ডেয়ার মারভিৎস৷ তিনি বললেন, সুইডিশ জ্বালানি সংস্থা ভাটেনফাল তার পরিকল্পিত সিসিএস কয়লাচালিত জ্বালানি প্রকল্প তৈরি করতে সফল হবে বলে তিনি মনে করেননা৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের অধিবাসীরা একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চান যে, ঝুঁকিপূর্ণ কোন প্রযুক্তি ব্যবস্থা আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে না৷''

ঐ সিসিএস প্রকল্পে যে ঝুঁকি বা আশঙ্কা রয়েছে সেটি হচ্ছে, কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়ে মাটির নীচে পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে বিষে পরিণত হতে পারে৷ অথবা মাটির নীচ থেকে ওপরে বের হয়ে আসতে পারে৷ তবে সবাই যে সিসিএস পদ্ধতির বিরোধিতা করছে তা নয়৷ অনেকেই বলছেন, এর মধ্যে দিয়ে কয়লা শক্তির টিকে থাকার সম্ভাবনা বজায় থাকবে এবং তা একই সঙ্গে বিশ্বের উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারবে৷

সিসিএস প্রকৃতপক্ষে কয়লা শক্তিকে বিশ্বে জ্বালানি প্রয়োজনের জন্য স্বল্পমেয়াদি এক সমাধানের রূপ দিতে পারে৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, তা করা হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস ব্যবহারের গতি কমে যাবে৷ ভাটেনফাল জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বিশাল আকারের লিগনাইট কয়লা প্রকল্প পরিচালনা করছে৷ এবং ২০০৯ সাল থেকে ব্রান্ডেনবুর্গে সিসিএস পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে৷ এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘‘ব্ল্যাক পাম্প''৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক