1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশচারীদের সম্মেলন

ব্রিটা কানে / এসবি১৬ আগস্ট ২০১৩

কিছুদিন আগে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ স্পেস এক্সপ্লোরার্স’-এর সদস্যরা কোলোন শহরে মিলিত হয়েছিলেন৷ তাঁদের বিরল অভিজ্ঞতার কিছুটা স্বাদ পেলেন সাধারণ মানুষও৷

https://p.dw.com/p/19Q39
26. Kongress der Association of Space Explorers in Köln am 1. Juli aufgenommen. Es zeigt den italienischen Astronauten Luca Parmitano, der dort von Bord der internationalen Raumstation ISS über eine Schalte ein Grusswort aus Anlass seiner Mitgliedschaft in der Organisation hält. Bildüberschrift: Luca Parmitano erklärt seinen Beitritt zur Association of Space Explorers ASE Bildbeschreibung: Auf dem 26. Kongress der Association of Space Explorers im Hauptgebäude der Universität Köln am 1. Juli hält der italienische Astronaut Luca Parmitano ein Grusswort. Er tut dies über eine Video-Schalte von Bord der internationalen Raumstation ISS. (Foto: DW/ Fabian Schmidt)
ছবি: DW/F. Schmidt

সম্প্রতি কোলোন শহরে এসেছিলেন ৮০ জন মহাকাশচারী ৷ তাঁদের প্রত্যেকেই কমপক্ষে একবার পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছেন৷ বিরল এই অভিজ্ঞতা যাঁদের হয়েছে, তাঁরা সবাই পরস্পরকে চেনেন৷ শুধু সাংবাদিক নয়, অটোগ্রাফ শিকারিরাও ভিড় করেছেন তাঁদের চারিপাশে৷ অ্যামেরিকা ও অন্যান্য দেশের অ্যাসট্রোনট-দের সান্নিধ্য পাওয়া কি সহজ কথা!

রাস্টি শোয়াইকহার্ট-এর কথাই ধরা যাক৷ প্রথম অ্যাপোলো অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ তিনিই প্রথম মানুষ, যিনি যান ছেড়ে মহাকাশে বেরিয়েছিলেন৷ আর আজ আইএসএস-এর বাইরে বেরিয়ে কাজ সারা এক রুটিন বিষয়৷

মহাকাশে দীর্ঘ সময় বসবাস করা, মাধ্যাকর্ষণ-বিহীন অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করা ও বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে সমস্যার সমাধান করাও আজ আর নতুন ঘটনা নয়৷ বর্তমানে ৩৫টি দেশ মহাকাশ কর্মসূচি চালাচ্ছে৷

কোলোন শহরের সম্মেলনে বলা হলো, কোনো দেশই একা মহাকাশের দখল নিতে চায় না৷ ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ স্পেস এক্সপ্লোরার্স'-এর সদস্যরা জার্মানি সফরে এসে মানবজাতির মধ্যে মিলের বিষয়ই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন৷ প্রথম চীনা মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়াই বললেন, ‘‘মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে সত্যি বোঝা যায়, আমাদের মধ্যে কত মিল রয়েছে৷ উপর থেকে তখন আর আন্তর্জাতিক সীমানা আমার চোখে পড়ে না৷''

জার্মানির মহাকাশচারী অ্যার্নস্ট মেসারস্মিড বললেন, ‘‘আমরা ইউরোপীয় মহাকাশচারী হিসেবে অভিযানে অংশ নেই, জার্মান হিসেবে নয়৷ তখন আমরা ইউরোপীয় অ্যাসট্রোনট, যাদের জার্মান নাগরিকত্ব রয়েছে৷ সেইসঙ্গে আমরা ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়ার আদর্শ মডেল হয়ে উঠি, অন্তত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে৷ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এত দ্রুত না এগোলেও চলবে৷''

কোলোন শহরে জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার – ডিএলআর-এর নতুন মেডিক্যাল ল্যাব-এ সাম্প্রতিক গবেষণার কিছু ফলাফল দেখা গেল৷ ভবিষ্যৎ মহাকাশচারীদের অভিযানের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করে তুলতে এখানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ একটি সেন্ট্রিফিউজ-এর মধ্যে গবেষকরা শরীরের উপর মাধ্যাকর্ষণহীনতার প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷

সম্মেলনে উপস্থিত মহাকাশচারীদের মধ্যে বেশিরভাগই অনেককাল আগে মহাকাশে গিয়েছেন৷ ভবিষ্যতে আবার সেখানে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম৷ তবে তাঁরা মহাকাশ থেকে সীমাহীন পৃথিবী দেখার সুযোগ পেয়েছেন৷ যেমন পোল্যান্ড-এর মিরোস্লাভ হ্যারমানচেভস্কি৷ তাই সারা জীবন ধরে তাঁদের এই বিশেষত্ব থেকে যাবে৷