1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির বন শহরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন

৪ মে ২০১০

রবিবার থেকে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের আজ শেষ দিন৷ ৪০-টিরও বেশি দেশের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে৷ উপস্থিত আছেন জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘের প্রধান কর্মকর্তা ইভো ডি বোয়ার৷

https://p.dw.com/p/NDsn
সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কাল্ডেরনছবি: AP

তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে এ বছর অর্থাৎ ২০১০-এর মধ্যে কোনো চুক্তি হবে বলে আশা করেন না বোয়ার৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘ আয়োজিত পরবর্তী সম্মেলনে যদি ভাল সাফল্য পাওয়া যায়, তাহলেই কেবল চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে৷ এ বছরেরই ডিসেম্বরে মেক্সিকোর কানকুনে সম্মেলনটি হবার কথা রয়েছে৷

তবে বোয়ারের আশা, কোপেনহেগেন সম্মেলনের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে৷ উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচ মাস আগে জাতিসংঘের আয়োজনে কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ গণমাধ্যমে তা বেশ প্রচারও পেয়েছিল৷ বিশ্বের প্রায় সব শীর্ষনেতাই সেখানে অংশ নিয়েছিলেন৷ কিন্তু উচ্চ কার্বন নির্গমনকারী কয়েকটি দেশের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটি ব্যর্থ হয়৷

কোপেনহেগেনের ব্যর্থতাকে মাথায় রেখে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলছেন যে, এখন থেকে ‘বাস্তবসম্মত আশা'ই করা উচিত৷ প্রথমেই কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় মাথায় না রেখে ধীরে ধীরে সেদিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ সেজন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সহ দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে৷ কানকুন সম্মেলনে এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করতে হবে৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কাল্ডেরন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন৷ সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের পরিবেশ মন্ত্রীদের নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ আমি মনে করি, জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘের এই আলোচনা প্রক্রিয়ার কোন বিকল্প নেই৷ অবশ্যই প্রস্তুতি নেয়া যায়, ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে কথাবার্তা চালানো যায়৷ কিন্তু পরিশেষে জাতিসংঘের একটি প্রক্রিয়ার মাঝেই আলোচনা করতে হবে৷ এবং কেউ যেন মনে না করে তাকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হচ্ছে৷''

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট কাল্ডেরনও কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন৷ বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য অর্থ সহায়তার বিষয়ে এটা জরুরি বলে, তিনি মন্তব্য করেন৷

জলবায়ু সুরক্ষা নিয়ে রফা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, জাপানের কিয়োটোতে আয়োজিত একটি সম্মেলনে৷ ২০১২ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ তাই নতুন একটি চুক্তির পথ খুঁজছে পুরো বিশ্ব৷

প্রতিবেদক : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক