1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্লোজে সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য

১২ জুলাই ২০১৪

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলদাতার রেকর্ড এখন মিরোস্লাভ ক্লোজের৷ বর্ষীয়ান এই ফুটবল তারকার দল সেমিফাইনালে ৭-১ গোলে হারায় ব্রাজিলকে৷

https://p.dw.com/p/1CaXF
Miroslav Klose
ছবি: imago/Eibner

আর সেই খেলাতেই নতুন রেকর্ড গড়েন ক্লোজে৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে দুটি রেকর্ড গড়েছেন ক্লোজে৷ প্রথমত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি রোনাল্ডোর কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ আর জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করে গের্ট ম্যুলারের গড়া রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েছেন তিনি৷ এই খেলোয়াড় সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য পাবেন এখানে:

ইউরোপীয় নাগরিকের প্রতীক

পোল্যান্ডে জন্ম নেয়া ক্লোজের বাবা ইওসেফ ছিলেন একজন ফুটবলার৷ আর মা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়৷ আট বছর বয়স পর্যন্ত ফ্রান্সে ছিলেন ক্লোজে৷ এরপর ফুটবলার বাবার কারণে জার্মানিতে চলে আসেন তিনি৷ ২০০৮ সালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লোজে জানান, তিনি নিজেকে পোলিশ বা জার্মান নয়, বরং একজন ইউরোপীয় হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে পোলিশ ভাষাতেই কথা বলেন ক্লোজে৷

ফ্যাসিবাদীদের কবলে ক্লোজে

ইটালীয় ক্লাব লাৎসিও'র খেলোয়াড় ক্লোজে ২০১১ সালে এক বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন৷ রোমে এএস রোমা'র সঙ্গে খেলার সময় ক্লোজের নামের সঙ্গে নাৎসি জামানার এসএস বাহিনীর চিহ্নযুক্ত একটি ব্যানার প্রদর্শন করে একদল ফ্যাসিবাদী ফুটবল সমর্থক৷ বিষয়টি আহত করে ক্লোজেকে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘খেলাধুলা এবং রাজনীতি দু'টি ভিন্ন বিষয়৷''

পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ

ক্লোজে একজন ধর্মপ্রাণ রোমান ক্যাথলিক৷ তাঁর স্বপ্ন ছিলো পোপের সঙ্গে দেখা করা৷ ২০১২ সালে সেই ইচ্ছা পূরণ হয় ক্লোজের৷ তৎকালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দীর্ঘসময় আলাপের সুযোগ পান তিনি৷

পোলিশ আহ্বান প্রত্যাখ্যান

ক্লোজেকে তাঁর জন্মস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টাও হয়েছিল৷ ক্লোজে কাইজার্সলাউটার্নে খেলার সময় পোলিশ কোচ জের্জি এনগাল তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে পোল্যান্ডের পক্ষে খেলার আমন্ত্রণ জানান৷ কিন্তু ক্লোজে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন৷

‘ফেয়ারপ্লে'-র জন্য সুখ্যাতি

খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের গোলে বল ঢোকাতে বলতে গেলে মরিয়া থাকেন ক্লোজে৷ তবে সেটা অবৈধ বা অনৈতিক পন্থায় নয়৷ তাই ‘ফেয়ার প্লে' অ্যাওয়ার্ডও জয় করেছেন তিনি৷ এক্ষেত্রে দু'টো উদাহরণ দেয়া যায়৷ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নাপোলির বিপক্ষে খেলছিল লাৎসিও৷ খেলার এক পর্যায়ে ক্লোজের হাতে লেগে একটি বল প্রতিপক্ষের গোলে প্রবেশ করে৷ বিষয়টি খেয়াল করেননি ম্যাচ রেফারি৷ কিন্তু ক্লোজেই এক পর্যায়ে তা জানিয়ে দেন এবং গোলটি না দেয়ার অনুরোধ জানান৷ ২০০৫ সালের এপ্রিলেও একইভাবে একটি পেনাল্টি শট গ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন তিনি৷

২০১৪ সালের বিশ্বকাপই খেলোয়াড় হিসেবে ক্লোজের সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ৷ ১৯৭৮ সালের ৯ জুন জন্ম নেয়া এই তারকা টানা চারটি বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে খেলেছেন৷ এক জীবনে এত প্রাপ্তি কি কোন অর্থে কম বলুন?

এআই / জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য