1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-চীন সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বার্লিনে কেটশিয়াং

৭ জানুয়ারি ২০১১

স্পেন সফর শেষ করলেন চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী লি কেটশিয়াং৷ স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে দেশটির ঋণ সংকট কাটাতে পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি৷ স্পেন থেকে তিনদিনের সফরে এসেছেন জার্মানি৷ এরপর যাবেন যুক্তরাজ্য৷

https://p.dw.com/p/zuXY
Spain, Prime, Minister, Jose, Luis, Rodriguez, Zapatero, China, vice-premier, Li Keqiang, Moncloa, Palace, Madrid, স্প্যানিশ, প্রধানমন্ত্রী ,হোসে, লুই, রড্রিগেজ, সাপাটেরো, চীনা, উপ-প্রধানমন্ত্রী ,লি, কেটশিয়াং
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী হোসে লুই রড্রিগেজ সাপাটেরোর সাথে চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী লি কেটশিয়াংছবি: AP

চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও এর ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক উপ-প্রধানমন্ত্রী লি কেটশিয়াং৷ জিয়াবাও এর পর তাঁরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ এছাড়া চীনের অর্থনৈতিক খাত দেখাশোনার দায়িত্বও রয়েছে ৫৫ বছর বয়সি কেটশিয়াং-এর উপর৷ তাই ইউরোপের বেশ কিছু দেশে ঋণ সংকট চলার এই সময়ে কেটশিয়াং-এর সফর ইউরোপের সংকটে চীনের পাশে থাকার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ সফর শুরুর আগেই কেটশিয়াং নিজেও সেকথা উল্লেখ করেন৷ জার্মান পত্রিকা ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' এ প্রকাশিত প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ইউরোপের সংকট কাটাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন৷ এছাড়া জার্মানির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কও আরো বাড়াতে চায় তারা৷

ইউরোপ সফরের শুরুতে স্পেন যান লি কেটশিয়াং৷ বৈঠক করেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী হোসে লুই রড্রিগেজ সাপাটেরোর সাথে৷ স্প্যানিশ পত্রিকা ‘এল পেইস' বলছে, বৈঠকে চীনা নেতা স্পেনের কাছ থেকে ছয় বিলিয়ন ইউরোর বন্ড কেনার কথা বলেছেন৷ এছাড়া স্পেনের সংকটে ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি৷

স্পেন থেকে বৃহস্পতিবার বার্লিন পৌঁছন চীনা নেতা৷ তাঁর এই সফরে দু'দেশের মধ্যে মোটা অঙ্কের বেশ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জার্মান গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান ফোক্সভাগেন ও ডাইমলারের সাথে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বিলিয়ন ইউরোর চুক্তি৷ এছাড়া দু'দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে খবর৷ চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন৷

তিনি প্রথমদিন বৈঠক করেন জার্মান অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রাইনার ব্রুডার্লের সাথে৷ তবে কেটশিয়াং এর সফরের প্রাক্কালে জার্মান মন্ত্রী ব্রুডার্লে অভিযোগ তুলেছেন যে, চীনে কর্মরত পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পরিবেশ যথেষ্ট স্বচ্ছ নয়৷ তাই জার্মানির ব্যবসায় বিষয়ক পত্রিকা ‘হান্ডেলসব্লাট'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এক্ষেত্রে আরো অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য চীনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ অবশ্য জার্মানির উদ্বেগের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য চীনের প্রতি সাধুবাদ জানান ব্রুডার্লে৷ চীনা নেতার সাথে বৈঠকে ব্রুডার্লে ডলারের সাথে তাল মিলিয়ে চীনা মুদ্রার দাম বাড়ানোরও আহ্বান জানান৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীন এবং জার্মানি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানিকারী দেশ৷ বার্লিনের পরিসংখ্যান মতে, ২০০৯ সালে জার্মানি চীনে রপ্তানি করেছে ৩৭.৩ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য৷ অন্যদিকে, চীন জার্মানিতে রপ্তানি করেছে ৫৬.৭ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য৷ এছাড়া ২০১০ সালের প্রথম দশ মাসে চীনে জার্মানির রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ এবং চীনের জার্মানিতে রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী