1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি তথা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে ইকোলাই জীবাণু

৩১ মে ২০১১

জীবাণুর নাম ইকোলাই৷ প্রথমে সাধারণ আন্ত্রিক রোগ মনে হলেও রোগীর কিডনি ক্রমশ অচল হয়ে পড়ে৷ স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও এর মারাত্মক প্রভাব দেখা যায়৷

https://p.dw.com/p/11R9b
স্পেন থেকে আমদানি করা শসা বা টমেটো উত্তর ইউরোপে ইকোলি জীবাণু বহন করে এনেছেছবি: AP

এখনো পর্যন্ত জার্মানির উত্তরাঞ্চলেই কমপক্ষে ১৪ জন মারাত্মক এই আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১২ জনই নারী৷ উত্তর থেকে ক্রমশ দক্ষিণের দিকে এগিয়ে চলেছে এই রোগের প্রকোপ৷ নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্যে ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে৷ সোমবার পর্যন্ত জার্মানিতে প্রায় ১,৪০০ রোগীর শরীরে হয় এই রোগ ধরা পড়েছে বা তাদের শরীরে এই জীবাণু রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে৷ ইউরোপের উত্তরাঞ্চলেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে৷ সুইডেনে কমপক্ষে ৩০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে৷ মঙ্গলবার সেদেশে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই রোগ ধরা পড়েছে৷ রোগটি মহামারির আকার ধারণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় জার্মানির ফেডারেল ও রাজ্য প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে৷ তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷

ডাক্তার ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এমন এক পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না৷ ফলে রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে৷ সঠিক চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে৷ মঙ্গলবার নতুন এক পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হচ্ছে, যার ফলে রোগীর শরীরে দ্রুত এই জীবাণু সনাক্ত করা সম্ভব হবে৷ শরীরে জীবাণুর সামান্যতম রেশ থাকলেও জটিল এই মলিকিউলার-বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ধরা পড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে৷ তবে এই পদ্ধতি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা জানার জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে৷ এদিকে বিশেষ এক অ্যান্টিবডিও সনাক্ত করা হয়েছে, যা ইকোলাই জীবাণুর মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক সাফল্য দেখিয়েছে৷ তবে এবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে৷ এই ইকোলির চিকিৎসার জন্য বিশাল পরিমাণ রক্তের প্লাজমার প্রয়োজন পড়ে৷ সব হাসপাতালে এমন প্লাজমা মজুত থাকে না৷ তবে জার্মান রেড ক্রস এক্ষেত্রে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে৷

জীবাণুর উৎস নিয়ে বিতর্ক এখনো কাটে নি৷ স্পেন থেকে আমদানি করা শসা বা টমেটো উত্তর ইউরোপে ইকোলাই জীবাণু বহন করে এনেছে, এমনটা সন্দেহ করা হলেও খোদ স্পেনে এই জীবাণুর অস্তিত্বের এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷ সংকটে পড়ে স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য চাইছে এবং জার্মানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ জার্মানিতেও কর্তৃপক্ষ এখন স্বীকার করেছে, যে স্পেন থেকে আমদানি করা শসা সব ক্ষেত্রে এই জীবাণুর উৎস নয়৷ বলাই বাহুল্য, এমন এক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত৷ তাদের শুধু বলা হচ্ছে – শসা, টমেটোর মতো কাঁচা সবজি খাবেন না এবং দিনে কয়েকবার ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

Protein GFP - green fluorescent protein
শরীরে জীবাণুর সামান্যতম রেশ থাকলেও জটিল এই মলিকিউলার-বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ধরা পড়বেছবি: AP