1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রিকায় সার্ধশতবর্ষের রবীন্দ্রনাথ

১৫ মে ২০১১

রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে সম্ভ্রান্ত জার্মান পত্রিকা ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং' প্রকাশ করেছে এক দীর্ঘ নিবন্ধ৷ লেখক টোমাস মাইসনার৷

https://p.dw.com/p/11GIc
জার্মানির সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রনাথেরছবি: Harun Ur Rashid Swapan

জার্মানিতে রবীন্দ্ররচনার কিছু নতুন ভাষান্তর এবং তাঁর ওপর প্রকাশিত নতুন গ্রন্থ থেকে কবির সঘন কাব্যিক কন্ঠের পরিচয় মেলে লিখেছেন নিবন্ধকার মাইসনার৷ আরো বেশি করে রবীন্দ্রনাথের রচনার সঙ্গে পরিচিত হবার তাগিদ দিয়েছেন তিনি জার্মান পাঠকদের৷

শান্তিনিকেতনবাসী জার্মান রবীন্দ্র অনুবাদক, গবেষক ও লেখক মার্টিন কেম্পশেন-এর ‘রবীন্দ্রনাথ ও জার্মানি' গ্রন্থের সূত্র ধরে নিবন্ধকার জার্মানিতে বিপুল রবীন্দ্র অভিনন্দনের কথা লিখেছেন৷ জানিয়েছেন: ‘‘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২১ সালে ইউরোপ সফরের সময় জার্মানিতেও উপস্থিত হন কবি৷ ডার্মস্টাট শহরে রবীন্দ্র সপ্তাহ উদযাপন এই সফরকে পৌঁছে দিয়েছিল এক শীর্ষবিন্দুতে৷ দার্শনিক কাউন্ট হ্যারমান কাইজারলিং ভারতীয় অতিথির খ্যাতিকে উৎসবের মাঝে অভিষিক্ত করেন৷ আর কবি বিমুগ্ধ জনতার সামনে বক্তব্য রাখেন প্রতিদিন৷ যত না সাহিত্য সেখানে স্থান পেয়েছে, আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতি স্থান করে নেয় তারও বেশি৷ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে রবীন্দ্রনাথ অবশ্য প্রাচ্যের দূত হিসেবে সম্প্রীতি আর বিশ্বশান্তির প্রচারে উপস্থিত হওয়াটাকেই তাঁর প্রধান দায়িত্ব বলে দেখেছিলেন৷''

১৯২৬ আর ১৯৩০'এও এসেছিলেন জার্মানিতে রবীন্দ্রনাথ৷ কিন্তু আগের সেই সাড়া জাগানো সাফল্যের পুনরাবৃত্তি আর ঘটেনি৷ তাঁর বই'এর চাহিদাও তখন আর নেই৷ তার একটা কারণ, ১৯২৩ সালের মুদ্রাস্ফীতি বই'এর গোটা বাজারটাকেই পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, জানিয়েছেন ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং' দৈনিকের নিবন্ধকার৷ সেই সময়ের জার্মান পাঠকদের রবীন্দ্রনাথের রচনার ইংরেজি অনুবাদ থেকে কৃত জার্মান ভাষান্তর পড়েই তৃপ্ত থাকতে হয়েছিল৷ মূল বাংলা থেকে সরাসরি জার্মান কোন অনুবাদ তখনও হয়নি৷ লেখক ও অনুবাদক মার্টিন কেম্পশেন বহু বছর ধরে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে ব্যাপৃত৷ তাঁর সরাসরি অনুবাদে রবীন্দ্রনাথের কবিতার একটি সংকলন বের করেছে ইনজেল প্রকাশনী৷ একই সঙ্গে রচনা করেছেন কবির এক সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত৷ এই কবিতা সংকলনের উল্লেখ করে নিবন্ধকার লিখছেন:

পশ্চিমের পাঠকদের কাছে এই সংকলনের কবিতাগুলোতে কাব্যসুধার সাংস্কৃতিক দূরগামিতার পাশাপাশি তার সর্বজনীনতাও ধরা পড়েছে৷...রবীন্দ্রনাথের জন্মের ১৫০ বছর পর এবং তাঁর প্রয়াণের ৭০ বছর পর আজকের দিনে তাঁর সাহিত্যকর্মের মুখোমুখী হবে পাঠক কীভাবে? তাঁর রচনা আমাদের জন্য সান্ত্বনা আর স্বস্তির আধার হয়ে উঠতে পারে, একথা জানিয়েছেন মার্টিন কেম্পশেন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ