1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্র-পত্রিকায় অধ্যাপক ইউনুস

২৮ নভেম্বর ২০১০

জার্মান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রামীণ ব্যাংকের নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষুদ্রঋণ ধারণার অপব্যবহার, সমাজ কল্যাণমুখী ব্যবসায়িক উদ্যোগ, এবং তাঁর ধ্যানধারণার বিশ্বব্যাপী সাফল্যের কথা বলেছেন অকপটে৷

https://p.dw.com/p/QKGY
গ্রামীণ, ব্যাংক, নোবেলজয়ী, প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যাপক, মুহাম্মদ ইউনুস, Bangladeshi, Nobel, Peace, Prize, Muhammad, Yunus, Dhaka, Bangladesh,
গ্রামীণ ব্যাংকের নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসছবি: AP

এমন অনেকে আছে যারা ক্ষুদ্রঋণের ধারণাটার অপব্যবহার করছে, স্পষ্ট অনুযোগ অধ্যাপক ইউনুসের৷ জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গ থেকে প্রকাশিত সম্ভ্রান্ত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ডি ৎসাইট' কে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর জন্য সীমানা ও বিধিনিয়মের কথা বলেছেন তিনি৷ এই সীমানা যে অতিক্রম করবে, সে ক্ষুদ্রঋণ কথাটারই অপনাম করবে, মনে করেন ইউনুস৷

‘ডি ৎসাইট' ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে এক দিশারী বলে অভিহিত করেছে মুহাম্মদ ইউনুসকে৷ পত্রিকা লিখছে:

নিজের সাফল্য নিয়ে এখনও বিস্ময় তাঁর, যদিও বাংলাদেশের এই বিনয়ী মানুষটি বহু দিন থেকেই বিশ্বের তারকাপুরুষদেরই একজন৷ ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দরিদ্র নারীদের সাহায্য করার ধারণাটির বাস্তব রূপায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে তিনি পান নোবেল শান্তি পুরস্কার৷ তারপর থেকেই ইউনুস সারা দুনিয়ায় ঘুরে ঘুরে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর কথা বলে যাচ্ছেন৷ বেশ কিছুকাল থেকে ক্ষুদ্রঋণের চেয়েও বেশি কিছু দেয়াটাই তাঁর ঈপ্সিত লক্ষ্য৷ তিনি জোর দিয়ে বলছেন ‘সোশাল বিজনেস''এর কথা৷ এই ব্যবসা চালাতে হবে ম্যানেজমেন্ট-এর নিয়ম মেনে৷ লাভ ছাড়লে চলবেনা৷ তবে তার কল্যাণমুখী উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে৷ এই লক্ষ্য নিয়েই ইউনুস ডা নোন, বিএএসএফ, ভেয়োলিয়া ও আডিডাস-এর সঙ্গে সহযোগিতা করছেন৷ জার্মানির হেসে রাজ্যের ভিসবাদেন শহরে তাঁকে সমর্থন যোগাচ্ছে ‘গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব'৷ সেখানকার ইউরোপিয়ান বিজনেস স্কুলে সৃষ্টি হয়ছে ‘সোশাল বিজনেস' এর প্রথম ইউরোপীয় চেয়ার৷

ক্ষুদ্রঋণের যাতে অপব্যবহার না ঘটে তার জন্য সুষ্ঠু নিয়মবিধি অধ্যাপক ইউনুসের কাম্য৷ ভারতে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ভারতে হাজার হাজার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি রয়েছে৷ কিন্তু সুষ্ঠু কোন নিয়মনীতি নেই৷ তিনি বলেন, অনেক চেষ্টায় বাংলাদেশে তা অর্জন করা গেছে৷ রয়েছে আইন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ এই কর্তৃপক্ষ ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান নিশ্চিত করে থাকে৷ এরকম কিছু অবশ্যই ভারতে হওয়া দরকার বলে অধ্যাপক ইউনুস মনে করেন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য