1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্র-পত্রিকায় কমনওয়েলথ গেমস

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

নতুন দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমস শুরু হবার আগেই ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে শুরু করে ক্রীড়াবিদদের বাসস্থান ইত্যাদি নিয়ে যে বিভিন্ন কেলেংকারি শুরু হয়েছে, তার ঢেউ এসে পৌঁছেছে জার্মানিতেও৷

https://p.dw.com/p/PMw4
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতছবি: picture alliance/dpa

খুব স্বাভাবিকভাবেই, নির্মাণকার্য, নিরাপত্তা অথবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ঘাটতিতে আমন্ত্রণকর্তা দেশ বিড়ম্বনায়৷ ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং পত্রিকা লিখছে:

ভারতীয়রা ‘‘ইতিহাসের সেরা গেমসের'' প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু নতুন দিল্লিতে তা শুরু হবার আগেই অঘটনের কোনো শেষ নেই৷ প্রথম কয়েকজন অ্যাথলীট ইতিমধ্যেই নতুন দিল্লি যাওয়া বন্ধ রেখেছেন, শেষমেষ ঘাটতি সব ঠিক করা হয় কিনা, তা দেখার জন্য৷ সন্ত্রাসের ভীতিও ছড়িয়েছে৷

কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসের সম্ভাব্য সফলতা, অসফলতা ছাড়াও ভারতের অন্য একটি ভাবমূর্তি আছে৷ তাই হান্ডেল্সব্লাট স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, একবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান নেবে৷ এছাড়া ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার ফলে ভারত চীনের তুলনাতেও সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকবে৷ পত্রিকাটি লিখছে:

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী আর বিশ বছরের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বে সর্বাধিক হবে৷ ভারতে কাজ করার মতো বয়সের মানুষদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, কিন্তু চীনে তা কমতে থাকবে৷ এখানেই ভারতের সর্ববৃহৎ সুযোগ - এবং বিপদ৷ কেননা জনসংখ্যাবৃদ্ধির সুবিধা শেষমেষ জনসংখ্যাবৃদ্ধির দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে৷ একদিকে যেমন ভারতের শহরগুলিতে মধ্যবিত্ত পর্যায়ের মানুষদের ছছল-বছল, অন্যদিকে তেমন ৫০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যে বাস করছে৷ ৫০ কোটি মানে সমগ্র আফ্রিকার জনসংখ্যার চেয়ে বেশী৷ সরকার যদি শিক্ষাব্যবস্থার গুরুতর খাঁকতিগুলো পূরণ করতে পারেন, একমাত্র তাহলেই ভারত তার জনসম্পদ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাস্তবিক কাজে লাগাতে পারবে৷

পাকিস্তানে বন্যা বিপর্যয়ের দু'মাস পরে জাতিসংঘ নতুন করে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে৷ বন্যার পর পুনর্নির্মাণে আরো দুই বিলিয়ন, অর্থাৎ দু'শো কোটি ডলার লাগবে বলে জাতিসংঘের অনুমান৷ কিন্তু দাতাদেশগুলো দ্বিধা করছে, বলে লিখছে নয়ে স্যুরসার সাইটুং:

সারা বিশ্বে একাধিক বড় আকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর বহু দেশের সরকারই আর সাহায্য দিতে ততোটা আগ্রহী নন৷ বিশেষ করে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আবার প্রদত্ত অর্থ কোথায় যাবে, তা নিয়ে ন্যায্য সন্দেহ আছে৷ যে কারণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন পাকিস্তানের প্রতি মজ্জাগত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু একটা করার, এবং পুনর্নির্মাণের কাজে শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতার ব্যবস্থা করার ডাক দিয়েছেন৷ এছাড়া ক্লিন্টন ও অন্যান্য পশ্চিমী মন্ত্রীরা পাকিস্তানের প্রতি স্বনির্ভর হবার এবং স্বদেশে করের মাধ্যমে আরো বেশী অর্থসংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ