1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্র-পত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া

২৯ মার্চ ২০১০

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত মার্কিন-পাকিস্তানি কৌশলগত আলাপ-আলোচনার সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ এ বৈঠক সম্পর্কে জার্মান পত্র-পত্রিকাগুলি কি বলছে ?

https://p.dw.com/p/Mgga
ছবি: AP

পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলে ছিলেন সেনাপ্রধান আশফাক পরভেজ কিয়ানি এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান সুজা পাশা৷ জার্মান পত্র-পত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে খবরাখবর এবং মতামতের কোনো অভাব থাকে না৷ তাই গত সপ্তাহের মার্কিন-পাকিস্তানি কৌশলগত আলাপ-আলোচনা ছিল ক্যাবিনেট পর্যায়ের, যা কিনা ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি৷

বার্লিনার সাইটুং লিখছে : ‘‘পাকিস্তানের নেতৃত্ব প্রধানত চান যে, আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব সীমিত রাখতে হবে৷ ন্যাটো যে আফগান সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০,০০০ করতে চায় এবং তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং সাজসরঞ্জামে সজ্জিত করতে চায়, সেটাও পাকিস্তানের জেনারেলদের মাথাব্যথার কারণ৷ কেননা আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্যদের পশ্চাদপসারণের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের চিন্তা আছে৷ সেনাপ্রধান কিয়ানি স্বয়ং সাবধান করে দিয়েছেন যে, পশ্চিমা সৈন্যরা বিদায় নেওয়ার পরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যদি আবার বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত হয়, এবং সেই সঙ্গে দেশে প্রচুর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থাকে - তা'হলে দেশে আবার নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে৷''

পাকিস্তানের গুপ্তচরবিভাগ আইএসআই সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু উচ্চপদস্থ আফগান তালেবান নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে৷ পাকিস্তান সম্ভবত এই পন্থায় আফগানিস্তানে তার নিজের প্রভাব বাড়াতে চাইছে, বলে স্যুদদেয়েচে সাইটুং-এর অনুমান : ‘‘এই গ্রেপ্তারি অভিযানের বাস্তবিক উদ্দেশ্য ক্রমেই আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা যদি আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে কোনো শান্তি-সমাধানে আসতে চায়, তবে পাকিস্তানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা না দিয়ে কোনো উপায় নেই৷ পাকিস্তানের সামরিক হর্তাকর্তারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে প্রভাব বাড়ানোর জন্য তালেবানকেই তুরুপের তাস বলে গণ্য করছেন৷''

জার্মান রিটেলার মেট্রো এজি গত বছরে এশিয়ায় যতো দোকান খুলেছে, ইউরোপে ত'তো নয়৷ ২০০৬ সালে চীন এবং ভারত ছিল খাদ্যপণ্যের সুপারমার্কেটের হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং পঞ্চম স্থানে৷ আজ এই দু'টি দেশ ঐ তালিকায় প্রথম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করার পথে৷ এ-বিষয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং লিখছে : ২০০৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ বাড়বে বলে ম্যাককিনসি'র অনুমান৷ এক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত পর্যায়ের মানুষদের অনুপাত বাড়বে ১,০০০ শতাংশ, অর্থাৎ ১০ গুণ৷ এবং ক্রেতা হিসেবে ভারতের মোট ভোগ্যপণ্যের বাজারে তাদের ভাগ বাড়বে প্রায় তিনগুণ৷ কাজেই বাণিজ্য সংস্থাগুলি প্রবৃদ্ধির অসাধারণ সুযোগ পাবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা এবং ইতিমধ্যেই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিচ্ছেন৷''

প্রতিবেদক : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ