জার্মান পত্র-পত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া
৩১ অক্টোবর ২০১০ভারতের অধিকাংশ বিজ্ঞানী, আইটি বিশেষজ্ঞ ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য বেছে নেন যে দেশটিকে তার নাম অ্যামেরিকা৷ কেন তাঁরা দলে দলে জার্মানিতে আসতে চাইছেননা তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছে মিউনিখের দৈনিক স্যুদডয়চে সাইটুং৷ ‘‘জার্মানি তাঁদের চাইছে, শুধু ভারতীয়রাই আসতে চাইছেন না'' - এই শিরোনামে প্রকাশিত এক দীর্ঘ নিবন্ধে লেখা হয়েছে:
জার্মানির দু'একজন রাজনীতিককে মুম্বাই শহরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি -আইআইটি'র চাকরি অনুসন্ধান দপ্তরে কয়েক মিনিট বসিয়ে রাখা যেতে পারে৷ ব্যাপারটা বুঝতে তাঁদের খুব বেশি সময় লাগবেনা৷ তাঁরা দেখতে পাবেন, জার্মানি সেখানে কোন যাদুমাখা শব্দ নয়৷ বরং তার উল্টোটাই৷
স্যুদডয়চে সাইটুং আরো লিখছে:
মুম্বাই আইআইটি'র ছাত্রছাত্রীদের জার্মানিতে চাকরি করার ইচ্ছা আছে কিনা, এই প্রশ্ন করা হলে তাঁদের মুখে ফুটে ওঠে চাপা শোভন হাসি৷ জার্মানি? এর জবাবে এক ধরণের নিস্তব্ধতা৷ আইআইটি মুম্বাই-এর অধিকাংশ ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকেই টেনে নেয়া হয়৷ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের চাকরির অফার দিতে সদা ব্যস্ত৷ টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস, সান মাইক্রোসিসটেমস, ম্যাকিনসে এরা তরুণ ভারতীয়দের আকর্ষণ করতে তাদের সামনে তুলে ধরে টাকাপয়সার এক গোটা প্যাকেজ৷ এতে থাকে বিশেষ সুযোগসুবিধার শর্ত, চাকরি গ্রহণকারীর পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা৷ অর্থাৎ শুধু একটি চাকরি নয়, দেয়া হয় ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ৷ ... অতএব জার্মানি তঁদের পেতে আগ্রহী কিনা সেটা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল তাঁরা আদৌ আসতে চান কিনা৷
যাঁরা জার্মানিতে এসেছেন শেষ পর্যন্ত, আইআইটি কানপুর থেকে পাশ করা বালাজি রেনুকুমার তাঁদেরই একজন৷ কিন্তু আদতে তিনি চেয়েছিলেন অ্যামেরিকায় যেতে৷ ছ'মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে চলে আসেন জার্মানিতে৷ সাত বছর ধরে চাকরি করছেন এখানে৷ তবুও অ্যামেরিকায় এবং ইতোমধ্যে ভারতেও যে-অবিশ্বাস্য রকমের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে, সেকথা প্রবল উৎসাহ নিয়েই বলেন তিনি৷
স্যুদডয়চে সাইটুং লিখছে:
ভাষার কারণে, বিশাল অভিবাসী ভারতীয় সমাজের উপস্থিতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই যেতে চান তাঁরা সবাই৷ বালাজি রেনুকুমার মনে করেন, জার্মানিতে আসা বহু আইটি বিশেষজ্ঞ আগে হোক পরে হোক একসময় অ্যামেরিকাতেই পৌঁছে যাবেন৷ ... ভারতীয়দের জার্মানিতে টেনে আনা খুব সহজ হবেনা৷
ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন