জার্মান সংসারে অপরিহার্য ১০টি জিনিস

জার্মান ব্রেকফাস্টে একটা আধ-সেদ্ধ ডিম থাকবেই৷ আর তা খাবার জন্য থাকবে নানা ধরনের ‘এগ কাপ’, সেই সঙ্গে হয়ত বিশেষ ‘এগ স্পুন’, এমনকি আরো ক্ষুদে ‘সল্ট শেকার’ বা নুনের পাত্র৷ শুধু সেদ্ধ ডিমের খোলা ভাঙার জন্যও আলাদা যন্ত্র আছে!

জার্মানরা রিসাইক্লিং-কে বিশেষ গুরুত্ব দেন, তাই প্রতি সংসারেই খালি বোতল ও ক্যান জমা করার পাত্র বা কোণ আছে৷ এই সব শিশিবোতল ফেরৎ নিয়ে গেলে রিফান্ড পাওয়া যায়৷

আর কিছু না, মোছামুছি, পোঁছাপুঁছি করার কাপড়, তবে নানা ধরনের, সাইজের ও নকশার৷ বিশেষ করে কিচেনে এই জার্মান ‘গামছাগুলোর’ উপস্থিতি সর্বত্র৷ ব্যাপারটা পরিবেশের পক্ষেও ভালো, কেননা কাগজের টাওয়েল একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়৷

এককালে বাঙালি বাড়িতে ফিনাইল আর ডেটলের যে স্থান ছিল আরকি৷ জার্মানরা খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন৷ জার্মানির যে কোনো বাড়িতে আজ একটি ছোটখাটো আলমারি ভর্তি নানান পদার্থ থাকবে কাচ, কাঠের আসবাবপত্র, বাথরুমের টাইলস, কিচেনের কুকিং রেঞ্জ ইত্যাদি পরিষ্কার বা পালিশ করার জন্যে৷

এ বস্তুটি ছাড়া জার্মানিতে কোনো টয়লেট কল্পনা করা যায় না৷

দেয়ালের গায়ে সারি দেওয়া বইয়ের তাক – আলমারি নয়৷ জার্মানরা বই পড়তে ও জমাতে ভালোবাসেন৷ বইয়ের সারি শুধু লোকদেখানোর জন্য নয়৷

ফাইল বলতে সরকারি-বেসরকারি অফিসের মোটা মোটা, কার্ডবোর্ডে বাঁধানো ‘বাইন্ডার’৷ জার্মানরা তাদের ‘দলিলপত্র’ অতি সাবধানতার সঙ্গে বছরের পর বছর সামলে রাখেন, সামলে রাখাটা শুধু নিয়ম নয়, রীতিমতো আইন – যেমন ট্যাক্স রিটার্নস রাখতে হয় পাক্কা দশ বছর৷ সেই সঙ্গে থাকে ইনসিওরেন্সের কাগজপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আরো কত কি৷

জার্মানরা একটু আড়ালে থাকতে ভালোবাসেন৷ বহু বাড়ির জানলায় লোহা বা প্লাস্টিকের ঝাঁপ থাকে, যেগুলো নামিয়ে দিলে বাইরে থেকে আর কিছু দেখার উপায় নেই৷

জার্মানরাও বাইরের জুতো পরে বাড়ির ভিতরে চলাফেরা করতে পছন্দ করেন না: সেজন্য আছে ‘পান্টোফেল’ বা বাড়িতে পরার জুতো৷ এগুলোর রং ও চেহারা বেশ কিম্ভুতকিমাকার হতে পারে৷

জার্মান দম্পতিরা ফুলশয্যাতেও একটির বদলে দু’টি লেপই প্রত্যাশা ও পছন্দ করেন৷ কেন? একটা লেপ নিয়ে টানাটানি থেকে যদি দাম্পত্য কলহ শুরু হয়?