1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-এইট থেকে জি-টোয়েন্টি: পরিধি বাড়লেও, প্রসঙ্গ একই থাকছে

২৭ জুন ২০১০

দ্বিবিধ শীর্ষবৈঠকের দ্বিতীয় দিন৷ আর্থিক বাজারের উপর কর বসছে না৷ অপরদিকে ম্যার্কেল এবং ওবামা’র মধ্যে বিরোধ মিটেছে৷

https://p.dw.com/p/O4Bu
প্রতিবাদছবি: AP

আন্তঃ-অতলান্তিক বিরোধের মেঘ ঘনিয়েছিল ইংরিজিতে যা'কে বলে ‘সাস্টেনেবল গ্রোথ', অর্থাৎ স্থায়ী প্রবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ ইউরোপীয় সরকারবর্গ গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের পর থেকে বাজেট ঘাটতি কমানো অথবা সীমিত রাখার উপরেই জোর দিচ্ছেন - যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং তাঁর উপদেষ্টাদের পছন্দ নয়৷ মার্কিন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মোকাবিলায় সরকারবর্গ যেমন বিভিন্ন প্রেরণা কর্মসূচি চালু করেছিলেন, সেই পন্থাই বজায় রাখা উচিৎ৷

কাজেই টরোন্টোর প্রথম সুফল হল যে, ওবামা এবং ম্যার্কেল, উভয়েই শেষমেষ এ-ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ দেশে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন - যা বাস্তবে এমনিতেই ঘটছে৷ তবে সুষ্ঠু আর্থিক পরিস্থিতিও যে সমাধানের অঙ্গ, সে'ব্যাপারে ম্যার্কেল দৃশ্যত ওবামা এবং অন্যান্য নেতৃবর্গের সমর্থন না পেলেও, স্বীকৃতি পেয়েছেন৷ অর্থাৎ পরিস্থিতি একই থাকল, অথচ বিরোধ মিটল৷

আর্থিক বাজারের উপর করের সম্ভাবনা নেই

বিশ্বব্যাপী আর্থিক লেনদেনের উপর করের ধারণাটির মূলে যে যুক্তিটি রয়েছে, সেটি হল: ২০০৮-৯ সালের আর্থিক সঙ্কটের জন্য যারা দায়ী, সেই ব্যাংক এবং শেয়ার বাজারের লেনদেনকারীদেরও অর্থনৈতিক নিরাময় প্রক্রিয়ার ব্যয়বহন করা উচিৎ, শুধু সরকারবর্গেরই নয়, অর্থাৎ করদাতাদেরই নয়৷ কিন্তু ম্যার্কেল তথা অপরাপর ইউরোপীয় নেতৃবর্গ টরোন্টোয় সেই ধারণাটি বেচতে পারেননি৷ ক্যানাডার নেতৃত্বে ব্রাজিল এবং চীনের মতো উত্থানশীল দেশ তার বিরোধিতা করেছে৷ অথচ খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ম্যার্কেল এ'ব্যাপারে সমর্থন পান ওবামার কাছ থেকে, কেননা ওবামাও ব্যাংকগুলিকে আর্থিক সঙ্কটের ব্যয়বহনে সংশ্লিষ্ট করতে আগ্রহী৷ - সবচেয়ে নিরাশ হয়েছে অক্সফ্যাম'এর মতো এনজিও'গুলি৷ তাদের বক্তব্য: যেখানে জি-এইট এবং জি-টোয়েন্টি বৈঠকগুলি প্রায় একত্রে হচ্ছে, সেখানে উন্নয়ন সাহায্যের প্রশ্নটি আর্থিক সঙ্কটের প্রশ্নের সঙ্গে একত্রে আলোচনা করার সুযোগ ছিল৷ অবশ্য জি-এইট যে তাদের উন্নয়ন সাহায্য সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি রাখেনি, সে'কথা এখন জি-এইট নিজেরাই বলছে৷

তবে সংস্কারের আশা আছে

যেমন ম্যার্কেল নিজেই বলেছেন: ‘‘আমরা অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি, কিন্তু এর মধ্যেই অনেক কিছু করা হয়েছে৷ আর্থিক বাজারের একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো গড়ে তুলতে আরো কিছু পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে৷'' এবং সে পদক্ষেপ যে কিরকম হতে পারে, তা' ওবামাই সগর্বে দেখিয়েছেন: যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক বাজারের সংস্কার শীঘ্রই আইন হতে চলেছে৷ কাজেই ওবামা এবার ইউরোপীয়দের দিকে অঙ্গুলিহেলন করতে পারেন বৈকি৷

প্রতিবেদন: হেনরিক ব্যোমে, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম