1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-এইট শীর্ষবৈঠকে অর্থনীতি নিয়ে বিতর্ক নেই, বলেছেন ম্যার্কেল

২৬ জুন ২০১০

বরং বিশ্ব অর্থনীতিতে কিভাবে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি আনা যায়, সে ব্যাপারে জি-এইট নেতৃবর্গের মধ্যে ‘‘ব্যাপক পারষ্পরিক সমঝোতা’’ পরিলক্ষিত হয়েছে, বলে জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/O3lt
জি - এইট নেতাদের স্বাগত জানায় টরোন্টোছবি: AP

ক্যানাডার হান্টসভিলে ম্যার্কেল সাংবাদিকদের সমীপে বলেছিলেন: ‘‘জি-এইট আলাপ-আলোচনা খুবই আন্তরিক হবে, কেননা আমাদের স্বল্প কয়েকজনের মধ্যে আলোচনা৷ আমার মনে হয়, আমরা এ'প্রশ্ন নিয়েও কথা বলব, কিভাবে আমরা আমাদের বাজেটে স্থিতি আনার ব্যবস্থা করতে পারি, যার ফলে স্থায়ী প্রবৃদ্ধির সৃষ্টি হয় - যা আমাদের সকলেরই কামনা৷'' শুক্রবার বৈঠকের পরে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রতি বলতে শোনা যায়: তিনি নাকি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সকলের স্থায়ী প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন, এবং তাঁর মতে প্রবৃদ্ধি এবং বুদ্ধিযুক্ত ব্যয়সঙ্কোচের মধ্যে কোনো পরষ্পরবিরোধিতা নেই৷

বলতে কি, বিষয়টি একটি আন্তঃ-অতলান্তিক বিতর্কের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে: গ্রিসের দৃষ্টান্তের পর ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি বাজেট ঘাটতি কমানোর উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যা পছন্দ নয়৷ ওয়াশিংটন চায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য একক দেশগুলির সরকারের তরফে আরো বেশী প্রেরণামূলক কর্মসূচি৷ দৃশ্যত সে বিরোধ হান্টসভিলে বিশেষ পরিলক্ষিত হয়নি, কেননা ম্যার্কেল বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই মতপার্থক্যের উপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করেনি৷ সকলেই দৃশ্যত বলেছে যে, সকলেই আধুনিক এবং স্থায়ী প্রবৃদ্ধির জন্য নিজেদের দায়ী বলে মনে করে৷ অপরদিকে ম্যার্কেল স্পষ্ট করে দেন যে, জার্মানি তার পন্থায় অচল থাকবে৷

G8 Gipfel Kanada NO-FLASH
জি-এইট বৈঠকে যোগদানকারী নেতৃবৃন্দছবি: AP

জি-টোয়েন্টি

জি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে ম্যার্কেল স্বীকার করেন যে, ইউরোপীয়রা যে বিশ্বব্যাপী ব্যাংক কর এবং আর্থিক লেনদেনের উপর করের ডাক দিয়েছে, জি-টোয়েন্টির অন্য দেশগুলির তা'তে যোগদানের কোনো আশা নেই৷ অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবর্গ গত ১৭ই জুন ব্রাসেলসে তাঁদের শীর্ষবৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেন যে, টরোন্টোয় ঐ মর্মে একটি আহ্বান জানানো হবে৷

আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক

এছাড়া জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ দৃশ্যত আসন্ন জি-টোয়েন্টির একটি খসড়া হাতে পেয়েছে, যা অনুযায়ী আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানের পদগুলি আর ইউরোপীয় এবং মার্কিনিদির মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে না৷ প্রথা মতো বিশ্বব্যাংকের প্রধান হন কোনো মার্কিন নাগরিক, এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের প্রধান হন কোনো ইউরোপীয়৷ খসড়ায় জি-টোয়েন্টি নেতৃবর্গ এই প্রথা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হবেন৷

ধরি মাছ, না ছুঁই পানি

তবে বাজেট ঘাটতি হ্রাস, না আরো বেশী সরকারি প্রেরণামূলক কর্মসূচি, এ' প্রশ্নে কূটনীতিকরা ঐ খসড়াতেই একটি আপোষের সূত্র রেখেছেন: ‘‘নিরাময় প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমান প্রেরণা কর্মসূচিগুলিকে বজায় রাখা প্রয়োজন৷ যুগপৎ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে স্থায়ী সরকারি আয়-ব্যয়ের গুরুত্বও উপলব্ধি করা গেছে৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই