1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুম্মা বারে অশান্ত আরব বিশ্ব

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

শুক্রবার৷ গোটা আরব বিশ্বে ছুটির দিন৷ জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করেছে৷ প্রতিটি দেশেই বিক্ষোভের চরিত্রের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10Jur
বিক্ষোভ লিবিয়ায়ছবি: picture alliance/dpa

আপাতত কেউ চাইছে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক অধিকার, কেউ বা স্বৈরাচারী শাসনতন্ত্র পুরোপুরি উৎখাত করতে চাইছে৷

জ্বলছে উত্তর আফ্রিকা

লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী কড়া হাতে বিক্ষোভকারীদের দমন করে চলেছে৷ শীর্ষ নেতা মুয়ম্মর আল গদ্দাফির বিরুদ্ধে ‘ক্ষোভ দিবস' উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশের উপর গুলি চালিয়ে তারা কমপক্ষে ২৪ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে৷ শুধু আল বায়দা শহরেই কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছে৷ গোটা আরব বিশ্ব জুড়ে যখন সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে, তখন মিশরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্ক্যোয়ারে আজ দেখা গেছে বিজয় মিছিল৷ মুবারক সরকারের বিদায় সত্ত্বেও সামরিক প্রশাসনের উপর গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য চাপ বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ৷ আলজেরিয়ার বর্তমান প্রশাসনের প্রাক্তন নেতা আব্দেলহামিদ মেহরি প্রেসিডেন্ট আব্দেলআজিজ বুতেফলিকার উদ্দেশ্যে লেখা এক খোলা চিঠিতে ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের ডাক দিয়েছেন৷ মরক্কোয় পরিস্থিতি এখনো অপেক্ষাকৃত শান্ত৷ সেখানে সংস্কারের দাবিতে এক সমাবেশের আগে সরকার মানুষকে তুষ্ট করতে নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যের ভর্তুকি বাড়াতে প্রায় ১৪০ কোটি ইউরো বাড়তি বরাদ্দ ঘোষণা করেছে৷

Flash-Galerie Bahrain Proteste Panzer
মানামার রাস্তায় সেনা ট্যাংকছবি: AP

পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ

বাহরাইনে শিয়া বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অভিযানে নিহতদের দাফন করতে গিয়ে রোষে ফেটে পড়ে৷ শাসক আল-খলিফা পরিবারের পতনের ডাক দিচ্ছে তারা৷ ইয়েমেনের এডেন শহরে পুলিশ ও সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে৷ রাজধানী সানা'য়ও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ জর্ডানে বিক্ষোভের ফলে কমপক্ষে ৮ জন আগত হয়েছে৷ ইরানের চিত্র একেবারে বিপরীত৷ সেখানে আজ সরকারপন্থী বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নেমে বিরোধী নেতা মির হুসেন মুসাভি ও মেহেদি কারুবি'র ফাঁসির দাবি করছে৷

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

প্রতিটি দেশের শাসক গোষ্ঠী আপাতত যে যার নিজের দেশের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ সার্বিক কোনো প্রতিক্রিয়া আপাতত দেখা যাচ্ছে না, যদিও আগামী ২৯শে মার্চ বাগদাদে আরব লিগ'এর শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় থাকবে না৷ আরব লিগ'এর মহাসচিব আম্র মুসা জানিয়েছেন, এই সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ এখনো তিনি পান নি৷ এদিকে মার্কিন প্রশাসন আরব বিশ্বে লাগাতার বিক্ষোভের ফলে কিছুটা দোটানায় পড়েছে৷ মিশরের মতো বাহারাইনও ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ৷ সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে৷ ফলে সেই সব দেশে এমন কোনো পরিবর্তন তারা দেখতে চায় না, যার ফলে মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি হতে পারে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য