1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুয়ার ওপর থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ চলে গেল

৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

জুয়া বা বাজি৷ জার্মানিতে এতদিন সরকারই নিয়ন্ত্রণ করতো এগুলো৷ এবং বেশ টাকা পেত এ থেকে৷ কিন্তু এবার তাদের সেই একচ্ছত্র আধিপত্য চলে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/P7P6
ফাইল ফটোছবি: AP

অনেকদিন ধরেই ইউরোপের বেসরকারি জুয়া কোম্পানিগুলো চাইছিল জার্মানির জুয়ার বাজার ধরতে৷ কিন্তু শুধুমাত্র সরকারের হাতে জুয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকায় তারা সেটা করতে পারছিলনা৷ তাই মামলা ঠুকে দেয় ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতে৷ কিন্তু সবাই ভেবেছিলেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেটা হয়েছে এবারও তাই হবে৷ অর্থাৎ রায় যাবে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বিপক্ষে৷ কিন্তু না, হলো এর বিপরীত৷

এর ফলে লাভবান হবে ব্রিটেন, জিব্রাল্টার ও মাল্টায় নিবন্ধিত থাকা জুয়ার কোম্পানিগুলো৷ তবে জার্মানিতে ব্যবসা চালু করতে এখনো তাদের অপেক্ষা করতে হবে জার্মানির আদালত কী বলে সেটা ওপর৷

ইউরোপীয় আদালতের দেয়া এই রায়ের ফলে জার্মানির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের বেশ লাভ হবে বলে জানিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ৷ তাঁর নাম মাক্স স্টাল, যিনি খেলা সম্পর্কিত একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন৷ তিনি বলছেন, এর ফলে জুয়ার কোম্পানিগুলো বায়ার্নের খেলোয়াড়দের জার্সিতে তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিতে পারবে৷ যেটা থেকে মোটা অংকের অর্থ আয় করতে পারবে ক্লাবটি৷

Bayern München Van Gaal Training Flash-Galerie
এই রায়ের ফলে জার্মানির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের বেশ লাভ হবেছবি: AP

বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের প্রধান বেকেনবাউয়ারের দেয়া আগের এক মন্তব্য থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় টাকার অংকে লাভের পরিমাণটা কত হতে পারে৷ তিনি বলেছিলেন, সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে প্রতি বছর তাঁর ক্লাব জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর ব্যবসা হারাচ্ছে৷

স্টাল বলছেন, জুয়া কোম্পানিগুলো প্রতি বছর ফ্রান্সের বিভিন্ন খেলায় প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করে থাকে৷

কিন্তু আদালতের দেয়া এমন রায়ের কারণে শঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷ কারণ সরকারীভাবে জুয়া নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সেখানে থেকে প্রতি বছর সরকার বেশ অর্থ পেত৷ যেটা খেলাধুলার উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজে ব্যয় করা হত৷ এছাড়া বিভিন্ন চ্যারিটিতেও দেয়া হত এই অর্থ৷ কিন্তু এই রায়ের ফলে অর্থ আসাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়লে সেগুলোর কী হবে সেটা নিয়েই এখন অনেকে চিন্তিত৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন