1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেদ্দায় বোমা বিস্ফোরণ

৪ জুলাই ২০১৬

কনস্যুলেটের গেট থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে আত্মঘাতী বোমারু নিজেকে উড়িয়ে দেয়৷ বিস্ফোরণে আহত হন দু'জন নিরাপত্তা কর্মী৷ বহুবছর পরে আবার সৌদি আরবে বিদেশিদের আক্রমণের প্রচেষ্টা করা হলো৷

https://p.dw.com/p/1JIZp
জেদ্দায় মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে
ছবি: Getty Images/AFP

জেদ্দায় মার্কিন বাণিজ্য দূতাবাসের ঠিক উল্টো দিকে ড. সুলেইমান ফকি হাসপাতাল৷ রবিবার রাতে স্থানীয় সময় সোয়া দু'টো নাগাদ অজ্ঞাত আত্মঘাতী বোমারু তার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ দৃশ্যত সে হাসপাতালের পার্কিং লটে একটি ট্যাক্সি থেকে নামার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ হয়৷ নিরাপত্তা কর্মীরা তার দিকে এগোতে শুরু করলে পর আততায়ী বিস্ফোরণ ঘটায়৷ পরে ‘সবক' নামধারী অনলাইন সংবাদপত্রে তার ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহের ছবি প্রকাশিত হয়েছে৷ ট্যাক্সির কাছে পার্ক করা অপর একটি গাড়ির খোলা দরজায় বিস্ফোরণের ছররা লাগার দাগ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷

এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে অকুস্থলে আরো তিনটি বিস্ফোরণের কথা বলেছেন৷ দৃশ্যত পুলিশ কয়েকটি ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ' ঘটিয়ে অশনাক্তকৃত বস্তু বা পদার্থ অপসারণ করেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীটি রয়টার্সকে যে ভিডিও পাঠিয়েছেন, তা-তে দেখা যাচ্ছে, পুলিশকর্মীরা কিভাবে গাড়ির পিছনে লুকোচ্ছেন ও হাত দিয়ে কান ঢাকছেন৷

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে, তারা সৌদি আরবের জেদ্দায় বোমা বিস্ফোরণ সম্পর্কে অবহিত ও দূতাবাস প্রধানের অধস্তন সব কর্মচারী নিরাপদ৷

রোজা শুরু হওয়ার স্বল্প আগে আততায়ী হানা দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তদন্তকারীরা তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন৷ আক্রমণের জন্য কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন দায়ী, সে বিষয়ে আপাতত কিছু জানা নেই, তবে ২০১৪ সালের শেষ যাবৎ ইসলামিক স্টেট বা আইএস সৌদি আরবে একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে৷ ২০১৫ সালের মার্চ মাসে রিয়াধে মার্কিন দূতাবাস ও সেই সঙ্গে জেদ্দা ও ধাহরান-এর মার্কিন কনস্যুলেটগুলি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়, যার কারণ হিসেবে ‘‘নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগের'' কথা বলা হয়েছিল৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য