1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বসতি স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা

২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

পূর্ব জেরুসালেমে বসতি স্থাপনের ‘পারমিট' বা অনুমতিপত্র বিষয়ে একটি ভোট বাতিল করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ৷ ওবামা প্রশাসন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো৷

https://p.dw.com/p/2UxVX
রামাল্লার অদূরে
ছবি: Getty Images/AFP/T. Coex

পূর্ব জেরুসালেমে নতুন আরো কয়েকশ' বসতি স্থাপনের পারমিটকে কেন্দ্র করে ভোটাভুটির পরিকল্পনা করছিলো জেরুসালেম সিটি কাউন্সিল৷ কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন জানার পর এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে তারা৷ কাউন্সিল সদস্য হানান রুবিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই ভোট বাতিলের নির্দেশ সরাসরি এসেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে থেকে৷

শুক্রবার পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকার বৈধতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়৷ যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকে৷ এছাড়া জাতিসংঘে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয় যেখানে পূর্ব জেরুসালেমসহ ইসরায়েলের অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সব ধরনের বসতি স্থাপন বন্ধের দাবি জানানো হয়৷

জাতিসংঘের ঐ প্রস্তাবে ভেটো দেয়ায় ওবামা প্রশাসনের সমালোচনার মুখে পড়েন নেতানিয়াহু, নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাকে  ‘লজ্জাজনক ইসরাইলি পদক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করে ওবামা প্রশাসন৷ এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন নীতির নিন্দা জানালো, যা চলছে ১৯৭৯ সাল থেকে৷

বুধবার রাতে জন কেরি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনেই ওবামা প্রশাসনের এ পদক্ষেপ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করার আগেই তার প্রশাসন চায় এই সমস্যার সমাধান হোক৷ কেবল প্রচারণায় নয়, নির্বাচনে জেতার পরও ট্রাম্প বরাবরই একথা বলে আসছেন যে নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র নীতিতে তার সমর্থন রয়েছে এবং পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনকেও তিনি সমর্থন করেন৷

১৫ জানুয়ারি প্যারিসে আন্তর্জাতিক মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ তাই এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছে ইসরায়েল৷ কেননা ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ২০ জানুয়ারি৷ ট্রাম্প অবশ্য এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের বিষয়ে তিনি খুব নমনীয় পথে থাকবেন, এছাড়া জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে আগ্রহী তিনি৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান