1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন লক্ষাধিক, ভাঙার নির্দেশ আটটি

৭ জুন ২০১০

ঢাকায় ভবন ধস রোধে এবার সক্রিয় সরকার৷ ইতিমধ্যে আটটি বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা নাকি লক্ষাধিক৷ আর তাই, কয়টি ভবন সরকার ভাঙবে তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে৷

https://p.dw.com/p/Njd2
ফাইল ফটোছবি: AP

ভবনধস রোধে সরকারের উদ্যোগ

দৈনিক প্রথম আলো সোমবার মূল প্রতিবেদন করেছে ঠিক এই বিষয়টি নিয়ে৷ শিরোনাম, ‘‘আট বাড়ি ভাঙার নির্দেশ''৷ পত্রিকাটির কথায়, ঢাকার নাখালপাড়ায় হেলে পড়া চারতলা বাড়ি এবং তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি এলাকার সাততলা ভবনসহ আশপাশের আটটি ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ ইতিমধ্যে এসব বাড়ির মালিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে৷

তবে দৈনিক ইত্তেফাক জানাচ্ছে আরো ভয়াবহ খবর৷ শিরোনাম, রাজধানীতে লক্ষাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন৷ অনুসন্ধানী এই প্রতিবদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় প্রায় লক্ষধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে৷ এরমধ্যে শুধু পুরনো ঢাকায় রয়েছে ২৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি৷

নিমতলীর অগ্নিকান্ড

প্রায় সব পত্রিকাই বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে৷ রবিবার নিমতলীর অগ্নিকান্ডে দগ্ধ আরেক শিশু প্রাণ হারায়৷ তবে, পত্রিকাগুলো মূলত মানবিক প্রতিবেদনকেই প্রাধান্য দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত ৩রা জুন রাতে নিমতলীতে অগ্নিকান্ডে এক বিয়ের অনুষ্ঠানেই মারা যান বেশ কয়েকজন৷ ফলে পন্ড হয় বিয়ে৷ তবে, বেঁচে যান বর-কনে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই জুটির বিয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সরকারি গণভবনে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে৷ দৈনিক কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকা জানিয়েছে এই খবর৷ এছাড়া এই অগ্নিকান্ডে নিহত দুই বোনকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডট কম৷ শিরোনাম, ‘‘মাঠ জুড়ে ছুটে বেড়াবে না প্রিয় দুই মুখ''৷

৭ই জুন, ৬ দফা দিবস

দৈনিক সমকাল শিরোনাম করেছে, ‘‘ঐতিহাসিক ৭ জুন আজ''৷ ১৯৬৬ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন তথা ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল ডেকেছিল৷ সেদিন এ হরতাল বানচাল করতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ মিছিলে গুলিবর্ষণ করে৷ পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া ও ওয়াজিউল্লাহসহ ১৩ জন প্রাণ হারান৷ আহত হন অনেকে৷ প্রায় সব পত্রিকাই এই দিনটি উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী